দাউদ মার্চেন্টকে ভারতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে

ভারতের সন্ত্রাসী দাউদ মার্চেন্টের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাকে ভারতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এর আগে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ফেরত দেয় বাংলাদেশ।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, শুধু দাউদ মার্চেন্ট নয় বাংলাদেশের কারাগারে যেসব ভারতীয় নাগরিকের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির পর সম্প্রতি বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গি ও দাগি সন্ত্রাসীদের হস্তান্তর শুরু হয়। এ চুক্তির আওতায় অনুপ চেটিয়াকে ফেরত দেওয়া হয়। পরে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার অন্যতম আসামি নূর হোসেনকে ফেরত পায় বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় দাউদ মার্চেন্টকে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার।

সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি চাঁদাবাজির ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের সম্পৃক্তার অভিযোগ ওঠায় কর্তব্য পালনকালে পুলিশ সদস্যদের অবশ্যই পুলিশের পোশাক পরার নির্দেশনা দেন তিনি। এছাড়া ডিবি পুলিশকেও কর্তব্য পালনকালে সংস্থার লোগো সংবলিত কোটি পরিধান করার নির্দেশও দেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশের এসআই মাসুদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, ভারতের ‘মাফিয়া ডন’ দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দাউদ মার্চেন্ট। ভারতের মুম্বাইয়ে সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমারকে ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট গুলি করে হত্যা করা হয়। এ মামলায় ভাড়াটে খুনি হিসেবে দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

২০০২ সালে ভারতীয় আদালত দাউদ মার্চেন্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ২০০৯ সালে পারিবারিক কারণে ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেয়েই তিনি পালিয়ে যান। ওই বছরের ২৭ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর দাউদ মার্চেন্ট জামিন পান। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ওই রাতেই তাকে ৫৪ ধারায় ফের গ্রেপ্তার করে ডিবি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের কারাগারেই আছেন।



মন্তব্য চালু নেই