দশ মাসে রেমিটেন্স কমেছে ২০০ কোটি ডলার
রেমিটেন্স তথা প্রবাসী আয়ে এপ্রিল মাসেও গেল ভাটার টান। চলতি অর্থ-বছরের গত ১০ মাসের হিসাবে প্রবাসীদের অর্থ পাঠানো কমেছে ১৬ শতাংশ। যার পরিমাণ ১৯৬ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি রেমিটেন্সের এই নিম্নমুখী প্রবণতায় অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা পর্যন্ত উদ্বিগ্ন।
বুধবার (৩ মে) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্য বলছে, প্রবাসীরা গত এপ্রিল মাসে মোট ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এর আগের মাস মার্চে পাঠিয়েছিলেন ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। তার আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ৯৪ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছিল, যা ছিল একক মাসের হিসাবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) প্রবাসীরা মোট এক হাজার ২৮ কোটি ৭২ লাখ (১০.২৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। অথচ, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে দেশে এসেছিল ১ হাজার ২২৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে এই ১০ মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ১৬ শতাংশ। যার পরিমাণ হচ্ছে ১৯৬ কোটি ২৮ লাখ ডলার
প্রবাসী আয়ের নেতিবাচক প্রবণতা প্রথম দেখা দেয় ২০১৩ সালে। ওই বছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ৩৮৩ কোটি ডলার পাঠান, যা ২০১২ সালের তুলনায় ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম ছিল। এরপর ২০১৪ সালে প্রবাসী আয়ে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে তা আবার ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে যায়।
রেমিটেন্স কমে যাওয়ার কারণ ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়াকে প্রবাসীরা দায়ী করলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ভিন্ন কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পর্যবেক্ষণ বলছে, বিদেশে প্রবাসীদের আয় কমে যাওয়া ও মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে অবৈধভাবে রেমিটেন্স আসায় ব্যাংকিং চ্যানেলে কমেছে। মোটা দাগে রেমিটেন্স ঠিকই বাংলাদেশে আসছে।
মন্তব্য চালু নেই