দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি শেখ হাসিনার কড়া বার্তা
জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুনোখুনি, মারামারি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো ছাড় না দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অপরাধী যে কেউই হোক তাকে আইনের আওতায় আনতে কড়া বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় উঠে আসে সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, মারামারি ও চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কথা জানান। খুনোখুনির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে নির্দেশ দেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাইরে থেকে আওয়ামী লীগে যারা যোগ দিয়েছে তারাই জনগণের কাছে তার দলকে বিতর্কিত করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় অন্যান্য মন্ত্রীকে হুঁশিয়ায়ার করে দিয়ে বলেন, কোনো সন্ত্রাসীর পক্ষে তদবির করবেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সরকারি দলের হোক আর যেই হোক যারাই এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, শোক দিবসের কর্মসূচি নিয়ে বৈঠককালে রাজধানীর বাড্ডায় তিনজনকে গুলি করে হত্যা, কুষ্টিয়ায় শোক দিবসে ফুল দেয়া নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত, চাঁদপুরে গার্লস হাইস্কুলে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মারধরের মতো বেশ কয়েকটি ঘটনা ইতোমধ্যে ঘটেছে। এসব ঘটনা জাতীয় শোক দিবসের ভাবগাম্ভীর্যকে নষ্ট করেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারাও চান এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
মন্তব্য চালু নেই