দরপত্র ছাড়াই বৃহত্তম সৌরপ্রকল্পের কাজ পেলেন এমপি মোয়াজ্জেম

দেশের সবচেয়ে বড় গ্রিড ভিত্তিক সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায়। দরপত্র ছাড়াই বিশেষ আইনে ৩২ মেগাওয়াটের এ কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে কোরিয়া বাংলাদেশের একটি যৌথ কনসোর্টিয়াম। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এখান থেকে ১৩ টাকা ৬০ পয়সায় (১৭ সেন্ট) বিদ্যুৎ কিনবে।

কনসোর্টিয়ামের সদস্য হলো, কোরিয়ার এডিসান সোলেটিক কোম্পানি ও পাওয়ার পয়েন্ট কোম্পানি এবং বাংলাদেশের হাওড় বাংলা কোরিয়া গ্রিন এনার্জি (এইচকেজিই)। তারা নিজেরাই কেন্দ্রটি নির্মাণ ও পরিচালনা (বিওও) করবে।

সোমবার এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি (পিপিএি) সই করে পিডিবি। পিডিবির পক্ষে কোম্পানি সচিব মাজহারুল হক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও কনসোর্টিয়ামের পক্ষে চয়োরম্যান ইয়াং লি চুক্তিতে সই করেন। এইচকেজিই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরচিালক ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন।

চুক্তি অনুসারে ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। চুক্তির মেয়াদ ২০ বছর।

কেন্দ্র থেকে নেত্রকোনার জাতীয় গ্রিডের উপকেন্দ্র পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছাতে ৩৫ কিলোমিটার ১৩২ কিলোভোল্টের সঞ্চালন লাইন কোম্পানি নিজ খরচে নির্মাণ করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এ বিদ্যুৎ প্রকল্প হাওড় অঞ্চলের জন্য বড় ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, হাওড় বাওড়সহ দুর্গম দ্বীপ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছাতে সৌর বিদ্যুৎ বড় ভূমিকা রাখছে। ইতোমধ্যে আমরা ৪৪ লাখ সোলার হোম সিস্টেম বসিয়েছি। সৌর বিদ্যুতে সেচ পাম্প চলছে। এসব দেশের জন্য ইতিবাচক।

বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা অনুসারে জ্বালানির বহুমুখিকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এরমধ্যে সৌর শক্তি একটি বড় উৎস্য হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন পিডিবির চেয়ারম্যান শামসুল হাসান মিয়া।

উল্লেখ্য, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। ধরমপাশা, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর এ তিন উপজেলা মিলে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) তিনি।



মন্তব্য চালু নেই