দক্ষিণে ৩৭ বনাম ০

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মির্জা আব্বাস। অবশ্য বিএনপির প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

তবে এক দিক থেকে এগিয়ে আছেন সাঈত খোকন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। অপরদিকে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৩৭টি। বিএনপি সমর্থিত অপর প্রার্থী আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামায় মির্জা আব্বাস ৬১টি মামলার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে, দ্রুত বিচার এবং দুনীতি দমন আইনে বর্তমানে ৩৭টি মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে দুনীর্তির মামলা রয়েছে ১৬টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৮টি, দ্রুত বিচার আইনে ৪টি, সন্ত্রাস দমন আইনে ১টি এবং অন্যান্য আইনে ৮টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে অভিযোগ গঠনের জন্য ১২টি, হাজিরার জন্য ১৫টি, তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ১০টি এবং একটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য অপেক্ষমান আছে।

এছাড়া ২৪টি মামলা থেকে অব্যাহতি এবং খালাস পেয়েছেন মির্জা আব্বাস। এরমধ্যে ২০০৮ সালের ১১ মে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ আয়কর অধ্যাদেশের ১৬৫ ধারায় ৩ বছর এবং ১৬৬ ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের রায় দেন। ওই মামলায় ২০১২ সালের ৮ মার্চ তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৫টি। তবে প্রত্যেকটি মামলা থেকেই অব্যাহতি পেয়েছেন। এই মামলার বিস্ফোরক দ্রব্য এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে এ মামলাগুলো ছিল।

মেয়র পদে মনোনয়ন দাখিলকারী বিএনপি কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় নেতা মো. আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে বর্তমানে তিনটি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে দুইটি বিস্ফোরক দ্রব্য এবং একটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলা। রাজধানীর রমনা ও শাহবাগ থানায় দায়ের করা এই মামলাগুলো বর্তমানে তদন্তাধীন।

এদিকে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সমর্থিত প্রার্থী বজলুর রশিদ ফিরোজের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে চারটি মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। অব্যাহতি পাওয়া মামলার মধ্যে ৩টিই ছিল দ্রুত বিচার আইনে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে। একটি আদাবর এবং অপরটি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার মামলা।

ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুর রহমানের অতীতে বিরুদ্ধে ৪টি মামলা থাকলেও তিনি এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

এছাড়া ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই