দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী ২৬, উত্তরে ২১
আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৬ জন প্রার্থী। ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনলেও ৫ জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেননি। অপরদিকে ঢাকা উত্তরে ৩০ জন মনোনয়ন কিনলেও জমা দিয়েছেন ২১ জন।
মনোনয়নপত্র জমার শেষদিন রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন কার্যালয় থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
রাজধানীর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা দক্ষিণের রির্টানিং অফিসার মিহির সরওয়ার মোর্শেদ রবিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে শোডাউন অবস্থায় ছিলেন। আপনারা দেখেছেন। এই ধরনের শোডাউনের তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মিছিল-জনসভা করা নিষেধ। মনোনয়ন দাখিলের মাধ্যমে প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের ফাইলবন্দি হয়ে গেলেন। এখন আমরা মনিটরিং টিম করবো। এই মনিটরিং টিম মেয়রদের মনিটর করবেন। যাতে কেউ উস্কানীমূলক কিছু করতে না পারে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের মনিটর করা হবে।’
রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ১১৪২ জন, জমা দিয়েছে ৬৩২। সর্বোচ্চ ২১ জন প্রার্থী ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে এবং সর্বনিম্ন ৪ জন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ২১২ জন এবং জমা দিয়েছেন ১৫৩ জন। সর্বোচ্চ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১৫ জন ১৮ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে। আর সর্বনিম্ন ৩ জন করে ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে।
অপরদিকে ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, প্রার্থীরা ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ২১ জনসম্ভাব্যপ্রার্থী মনোনয়নপত্রজমা দিয়েছেন। তবে এখনো কাউন্সিলর প্রার্থীদের হিসেব করা যায়নি। হিসাব-নিকাশ করে পরে জানানো হবে।
শাহ আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, ‘প্রার্থীদেরআচরণবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরাকঠোর অবস্থানেরয়েছি। বিধি লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার ভ্রাম্যমাণআদালত১ জনকে২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হেভিওয়েট বা হালকাওয়েট বলে কোনো প্রার্থী আামাদের নেই। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে সবাই আমার কাছে সমান।আমি সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলতে আহ্বান জানাই।
ঢাকা দক্ষিণের মনোনয়নপত্র জমা দানকারী প্রার্থী : মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ, মো. আব্দুল খালেক, মো. জাহিদুর রহমান, আবু নাছের মুহাম্মদ মাসুদ হোসাইন, মো. বাহারানে সুলতান বাহার, এএসএম আকরাম, শাহীন খান, দিলীপ ভদ্র্র, মো. শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, মো. বাবুল সরদার চাখারী, মোহাম্মদ শফি উল্লাহ চৌধুরী, মো. নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু, মো. আবদুর রহমান, মো. আব্দুস সালাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, মশিউর রহমান, এএম আসাদুজ্জামান রিপন, মো. ইমতিয়াজ আলম, মো. গোলাম মাওলা রনি, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আয়ুব হুসেন ও কাজী আবুল বাশার। এছাড়া কাজী মো. সাইদুর রহমান মানিক, সৈয়দ শাহ আলম, হাজী মো. সেলিম, মো. সেলিম ভূঞা ও শাহীন মিয়া মনোনয়নপত্র তুললেও জমা দেননি।
ঢাকা উত্তরের মনোনয়নপত্র জমা দানকারী প্রার্থী : শামছুল আলম চৌধুরী, চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিদ্দিকী, আবদুল্লাহ আল ক্বাফী, ববি হাজ্জাজ, এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, বাহাউদ্দিন আহমেদ, নাদের চৌধুরী, কাজী মো. শহীদুল্লাহ, আবদুল আওয়াল মিন্টু, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, মো. নাঈম হাসান, আনিসুল হক, সারাহ বেগম কবরী, মো. আনিসুজ্জামান খোকন, তাবিথ আওয়াল, মো. জামান ভূঞা, শেখ শহিদুজ্জামান, মো. জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকী, মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী, শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ ও মোস্তফা আজাদী।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেও জমা দেননি যারা তারা হলেন : মাহমুদুর রহমান মান্না, হেলেনা জাহাঙ্গীর, আতিকুর রহমান নাজিম, মো. একলাস উদ্দিন মোল্লা, মো. তাইফুল সিরাজ, মো. আবু তাহের, ফকির শেখ মুসলিম উদ্দিন আহমদ, মাহবুবুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম বুবু।
মন্তব্য চালু নেই