থাইরয়েড সমস্যায় এড়িয়ে চলুন এই ৫ ধরণের খাবার
থাইরয়েড আমাদের শরীরে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থি যা থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনের জন্য দায়ী। শরীরের মেটাবলিক প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে এই হরমোন বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। থাইরয়েড সমস্যায় পুরুষদের চেয়ে মহিলারা বেশি ভুগে থাকেন। মহিলারা এই রোগে কেন বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন, এর সঠিক কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। মূলত আয়াডিনের অভাবে কারণে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। থাইরয়েড সমস্যায় ওষুধই একমাত্র সমাধান। তবে কিছু খাবার আছে থাইরয়েড সমস্যায় এড়িয়ে চলা উচিত।
১। কফি ক্যাফিন থাইরয়েড হরমোনকে ব্লক করে দিয়ে থাকে। Lee মনে করেন “যারা সকালের কফির সাথে থাইরয়েডের ওষুধ খেয়ে থাকেন, তাদের থাইরয়েড লেভেল অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এটি নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। পানি দিয়ে ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। কফির পরিবর্তে ফলের রস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
২। অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট University of Maryland Medical Center এর মতে সম্পৃক্ত চর্বি এবং ট্রান্স চর্বি দেহের ইনফ্লামেশন বৃদ্ধি করে থাকে, তাই ফ্যাটিযুক্ত খাবার বিশেষত ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করা উচিত। চর্বিযুক্ত রেড মিট, প্রোসেসড ফুড, দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। মাছ, ফল, সবজি, বাদাম ইত্যাদি খাওয়া শুরু করুন। ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
৩। দুধ থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে স্কিমড দুধ খাওয়া যেতে পারে। এটি স্বাস্থ্যকর এবং সহজে হজম হয়ে যায়। ফুল ফ্যাট দুধের সাথে সাথে দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, চিজ, আইসক্রিম, দই ইত্যাদি খাবার খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
৪। চিনিযুক্ত খাবার হাইপোথাইরয়েডিজম শরীরের মেটাবলিজমকে স্লো করে দিয়ে থাকে। তাই এইসময় দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। এইসময় খাবার গ্রহণে একটু বেশি সচেতন হতে হয়। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে চিনিযুক্ত সকল খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিন।
৫। সমৃদ্ধ শস্য সমৃদ্ধ ময়দা অথবা ময়দা জাতীয় খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। এতে উচ্চ গ্লাইসেমিক উপাদান আছে যা রক্তে হরমোনের স্তর বৃদ্ধি করে থাকে। থাইরয়েড সমস্যায় লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
মন্তব্য চালু নেই