রাবিতে ভারতীয় হাইকমিশনার

‘তিস্তা চুক্তি সমাধানেও আশাবাদী ভারত’

‘দুই দেশের সক্রিয় উদ্যোগে সীমান্ত চুক্তি সফলতার মুখ দেখেছে। এখন তিস্তা চুক্তিসহ দ্বিপক্ষীয় অন্যান্য বিষয়েও কার্যকর সমাধানে ভারত আশাবাদী’

সোমবার সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিনেট ভবনে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সমস্যা একই ধরনের। তাই আমাদের একসঙ্গে এসবের সমাধান খুঁজতে হবে। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন শিক্ষাক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই শিক্ষাক্ষেত্রসহ সবক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো বাড়াতে হবে। প্রতিবেশি দুই দেশের সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু সরকারের ওপর নির্ভরশীল নয়। এ সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক।

এছাড়া তিনি দুই দেশকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার চেতনাকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিবেশীর সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়া কেউ সফল হতে পারে না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতি গঠনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। রাবির সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণামূলক পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধির আশ্বাস দেন তিনি।’
তিনার বক্তব্য প্রদান শেষে পঙ্কজ সরনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেন রাবি উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর এন্তাজুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান। অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সন্দীপ মিত্র।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, রাবিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় ভারতীয় হাইকমিশন বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আগামী দিনে দুই পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রশালা পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন।

পরে দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা এবং সঙ্গীত বিভাগে পরিচালিত সাংস্কৃতিক প্রকল্পের অধীনে সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।



মন্তব্য চালু নেই