তিস্তা চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্তের আগে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমোদন জরুরি
নরেন্দ্র মোদির সরকারকে যে তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যুতে এক ইঞ্চিও ছাড় দেবেন না তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তৃণমূলের সংসদীয় দলের উপনেত্রী ডা. রত্না দে নাগকে দিয়ে তিনি সংসদে জানিয়ে দিয়েছেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমোদন নেয়া জরুরি।
কেন্দ্রীয় সরকার ভুলেও যেন মমতা ব্যানার্জির সরকারকে উপেক্ষা করার চেষ্টা না করে। পশ্চিমবাংলার স্বার্থ আগে, তারপরে আন্তর্জাতিক হাততালি নিতে যান। নইলে গোটা পশ্চিমবঙ্গ গর্জে উঠবে, প্রতিবাদ করবে।
দিনকয়েক আগেই মোদি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, মমতাকে খুশি করতে ভারত-বাংলাদেশ নদী কমিশনের বৈঠক সেপ্টেম্বরে কলকাতায় করা হবে। কিন্তু তার আগেই দলের উপনেত্রী ডা. নাগকে দিয়ে সংসদেই রাজ্য তথা দলের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা।
দিল্লিতে সংসদীয় দলের এমপিরা বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখলেও মমতাই ঠিক করে দেন, কে কী বলবেন। কোন্ ইস্যুতে দলের কোন্ এমপি কি কি পয়েন্টে বলবেন তাও যেহেতু নেত্রী ঠিক করে দেন, তাই রত্না দে নাগের কথা যে মমতারই বক্তব্য তা ধরে নিয়েছেন রাজনৈতিক মহল। মোদি সরকারকে মমতা যে কোনো ছাড় দিতে রাজি নন তা গতকালই ধর্মতলায় প্রকাশ্য সভায় কড়া আক্রমণ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
সংসদের লোকসভা কক্ষে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন সংক্রান্ত আলোচনায় রত্না দে নাগ মঙ্গলবার জানান, এক্ষেত্রে এমন একটা সমাধানের প্রয়োজন যাতে এর সঙ্গে জড়িত থাকা সবাইকে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গকে সন্তুষ্ট করতে পারে। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা বন্যানিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে জল সংরক্ষণ, ভাঙন রোধ, সেচের জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনাসহ অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকাঠামোয় ঘাটতি রয়েছে বলেও রত্না এদিন অভিযোগ করেন।
নদী সংযোজন প্রকল্পের রিপোর্ট তৈরির জন্য মাত্র একশ কোটি টাকা ও গঙ্গা সংরক্ষণের মতো বড় প্রকল্পের জন্য মাত্র দুহাজার সাঁইত্রিশ কোটি টাকা বরাদ্দ লোকদেখানো বলে উল্লেখ করেন রত্না। একই আলোচনায় অংশ নেন রাষ্ট্রপতিপুত্র ও জঙ্গিপুরের কংগ্রেস এমপি অভিজিৎ মুখার্জি।
মন্তব্য চালু নেই