প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে প্রতিরক্ষা ও তিস্তা চুক্তি নিয়ে দুদেশের মধ্যে কোনও সমঝোতা হয় কি না, যাবতীয় কৌতূহল এখন তাকে ঘিরেই। দিল্লীতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনাকে এখনো ঘোলাটে দেখছেন। তবে চুক্তি না হলেও আলোচনায় ওই নদীর প্রবাহের অর্ধেক হিস্যা চাইবে বাংলাদেশ। এছাড়া দুদেশের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের ঠিক আগে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকার দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর তেমনটিই ইঙ্গিত দেন। ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ কারণে সমঝোতা আটকে আছে। কিভাবে বাধা ছোটানো যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিশ্চয়ই শেখ হাসিনাকে বলবেন। কিন্তু বাংলাদেশ প্রস্তুত।’

তিস্তায় পানির প্রবাহ যাই হোক – বাংলাদেশ যে তার অর্ধেকটা দাবি করবে সেটা রাষ্ট্রদূত পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন। ‘প্রবাহ আট আনা থাকলে আমরা চার আনা চাই, ছয় আনা থাকলে আমরা তিন আনা চাই।’ এদিকে তিস্তা চুক্তির পথে প্রধান বাধা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শেখ হাসিনার সফরের সময় দিল্লিতে এসে তার সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানা গেছে। নৈশভোজের আসরে তাদের দুজনের কথাবার্তা হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ফলে এবারে যদি চুক্তি সই না-ও হয়, এই সব আলোচনা অচিরেই চুক্তির পথ প্রশস্ত করে দেবে বলে বাংলাদেশ আশা করছে।

প্রতিরক্ষা চুক্তি হচ্ছে কিনা – এই প্রশ্নে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, ‘দুটো দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কোনও নতুন বিষয় নয়, কিন্তু এখন সেটাকে একটা কাঠামোর ভেতর এনে কোন কোন খাতে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তারই চেষ্টা করা হচ্ছে।’ সূত্র : বিবিসি।