তিন বছরে আটক হয়েছে ২৯৪৪ কেজি স্বর্ণ

গত তিন বছরে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ২ হাজার ৯৪৪ কেজি স্বর্ণ আটক হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিমানবন্দর, কাস্টমস হাউস, কাস্টমস স্টেশন সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আটককৃত স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রা গণনাপূর্বক পুলিশ প্রহরায় বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়।

সোমবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের (নারায়ণগঞ্জ-৪) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত তিন বছরের (২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সাল) মোট ২ হাজার ৯৪৪ কেজি স্বর্ণ আটক করা হয়। এর মধ্যে ২০১৩ সালে ৬২০ কেজি, ২০১৪ সালে ১ হাজার ৫৩৯ কেজি ও ২০১৫ সালে ৭৮৪ কেজি স্বর্ণ আটক হয়েছে।’

স্বর্ণ ও মুদ্রা চোরাচালান রোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভূমিকা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরসহ সকল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদারকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সময়ে স্বর্ণ ও মুদ্রা চোরাচালান বহুলাংশে কমছে।’

এদিকে সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের (খুলনা-২) এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, শেয়ারহোল্ডারদের সুবিধার্থে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে ৬৬টি কোম্পানিকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ১২টি কোম্পানি প্রয়োজনীয় শর্তাদি পরিপালন করে আবেদন করায় সরকার ওটিসি মার্কেট থেকে তাদেরকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে এনেছে।

ওটিসি মার্কেটে থাকা ৬৬টি কোম্পানি প্রয়োজনীয় শর্তাদি পরিপালন করে মূল মার্কেটে ফিরে আসার আবেদন করলে সরকার এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সংসদকে জানান আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ওটিসি মার্কেটের কোম্পানির মূল মার্কেটে আসা নির্ভর করে কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছতা এবং সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন- তথা নির্দিষ্ট সময়ে এজিএম সম্পন্ন ও লভ্যাংশ প্রদান করার উপর।’



মন্তব্য চালু নেই