তিন প্রতীবন্ধী সন্তান নিয়ে অসহায় পিতা মাতার অর্ধহারে অনাহারে দিনাতিপাত
বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের ফকু তালুকদারের চার সন্তান তারা সবাই প্রতীবন্ধী হয়ে গেছে।জন্মের ৫-৭ বছর বয়সে শুরু হয় প্রতীবন্ধী হওয়া । ফকু তালুকদার বলেন তার বড় ছেলে স্বপন সুস্থ সবল শিশু হিসাবে জন্মগ্রহন করেন । অন্যান্য শিশুদের মত সে বেড়ে উঠে। যখন স্বপনের বয়স ৭ বছর হয়, তখন প্রথমে স্বপনের দুই পায়ের নিচের অংশ কিছুদিন পরে দুই হাত ফুলে শক্ত হয়ে মারাত্বক ব্যাথা হয় তার পর আস্তে আস্তে দু পা ও হাত চিকন হয়ে পঙ্গু হয়ে যায় তারা আর স্বঅবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারেনা । ডাক্তাররা এখন পর্যন্ত রোগই নির্নয় করতে পারেন নি।
আমতলী হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাপস কুমার মন্ডল বলেন এ টা কি রোগ বলা যাচ্ছেনা । ফকু তালুকদার আরো বলেন বড় ছেলে স্বপন ২২বছর বয়সে মারা গেছে। অপর দুই ছেলে রিপন(১৯) সিপন (১৭ )বছর তাদেরও একই অবস্থা । ছোট ছেলে ছলেমান বয়স-৭ বছর দ্বিতীয় শ্রেনীতে কালিবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। তার ও হাত পায়ে ব্যাথ শুরু হয়ে গেছে । অসহায় গরীব ফকু তালুকদার ছেলেদের নিয়ে আছেন মহা বিপদে।
টাকার অভাবে ঢাকা বরিশাল চিকিৎসা করাতে পারছেনা। যে টুকু সহায় সম্বল ছিল তা দিয়ে চিকিৎসা করানোর পর এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ফকু তালুকদার । অর্ধহারে অনাহারে থাকতে হয় এই প্রতীবন্ধী সন্তানদের নিয়ে তিনি তাদের মুখে তিন বেলা খাবার দিতে পারেনা । ফকু তালুকদার তার সন্তাদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী ,স্বাস্থ্য মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এবং সমাজের সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আকুতি জানিয়েছেন । সঞ্চয়ী হিসান নং-১৮৭৭, জনতা ব্যাংক আমতলী শাখা,বরগুনা ।
মন্তব্য চালু নেই