তিন জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত ১১
গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে তিনটি জঙ্গি আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সন্দেহভাজন ১১ জঙ্গি নিহত হয়েছেন। শনিবার গাজীপুর সদরের লেবুবাগানে দুইজন, পাতারটেকে সাতজন এবং টাঙ্গাইল সদরের কাগমারা এলাকায় অভিযানে দুইজন নিহত হন। নিহতের মধ্যে নিউ জেএমবির সমন্বয়ক জঙ্গি আকাশও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জঙ্গিবিরোধী অভিযানে এর আগে একদিনে এত বেশি ‘জঙ্গি’ মারা যায়নি। এর আগে একক জঙ্গি অভিযানে কল্যাণপুরে একদিনে ৯ ‘জঙ্গি’ মারা গিয়েছিল।
গাজীপুরের লেবুবাগানে অভিযানের ব্যাপারে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লে. কর্নেল মুফতি মাহমুদ খান জানান, কয়েকজন জঙ্গি বাড়িটিতে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে বাড়িটি ঘিরে ফেলে র্যাব ও পুলিশ। পরে সকাল আটটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে। দরজা ভেঙে একটি কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করলে জঙ্গিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাব ও পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে দুই জঙ্গি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
নিহতরা হলেন, রাশেদ মিয়া ও তৌহিদুল ইসলাম। দুজনেরই বাড়ি নরসিংদীতে। এদের মধ্যে রাশেদ এইসএসসি পরীক্ষায় পাস করার পর ঢাকায় আসেন। আর তৌহিদুল ডুয়েটের ছাত্র।
অভিযানের পর ঘটনাস্থল থেকে এ কে-টোয়েন্টি টোয়েন্টি বোরের একটি রাইফেল, তিনটি চাপাতি, বিপুল পরিমাণ গুলি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে বলে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান।
স্থানীয়রা জানান, একতলা ওই বাড়ির মালিকের নাম আতাউর রহমান। তিনি সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। মাস দুয়েক আগে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বাড়িটিতে তিনটি পরিবারকে ভাড়া দেন তিনি।
পাতারটেকের অভিযানের ব্যাপারে দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ওসমান আলী নামে এক ব্যক্তির বাসার দ্বিতীয় তলায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে তারা সকাল ১০টার দিকে অভিযান শুরু করেন। বাসায় থাকা সবাইকে আত্মসমর্পণ করতে বললে ‘জঙ্গিরা’ ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলিতে সন্দেহভাজন সাত জঙ্গি নিহত হন।
টাঙ্গাইলের অভিযানের ব্যাপারে র্যাব-১২ এর কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কাগমারা গ্রামে তিনতলা একটি বাসায় জঙ্গি আস্তানার খবর পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের গুলিতে দুই জঙ্গি নিহত হন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, কয়েক মাস আগে এই বাসায় ভাড়া নেয় তিন যুবক। তাদের বাড়ি বগুড়ায় বলে স্থানীয়রা জানায়। তারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত এমন তথ্যের ভিত্তিতে বাড়িটিতে অভিযান চালানোর সময় দুইজন নিহত হয়। নিহতরা কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত র্যাবের এই কর্মকর্তা তা জানাননি।
মন্তব্য চালু নেই