রিজার্ভের অর্থ চুরি
তিন কোটি ১০ লাখ ডলার ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে তিন কোটি ১০ লাখ উদ্ধার করে তা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ফিলিপাইন সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্রো-টেমপোর রালফ রেক্টো।
আজ বুধবার সকালে ফিলিপাইনের গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
রেক্টর বলেন, প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার ক্যাসিনো জাঙ্কেট অপারেটর কিম অংয়ের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া যেতে পারে। সিনেটে দেয়া কিমের সাক্ষ্য অনুযায়ী, আরও ১৭ মিলিয়ন ডলার আছে রেমিট্যান্স কোম্পানি ফিলরেমের কাছে।
রেক্টর মনে করেন, কিম এবং ফিলরেমের কাছ থেকে ওই অর্থ উদ্ধার করা গেলে বাংলাদেশকে ফেরত দেয়া সম্ভব।
এর আগে রিজার্ভের চুরি যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ফেরত দিতে সম্মত হন এ ঘটনার মূল হোতা ব্যবসায়ী কিম ওয়ং। অর্থ চুরির ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির শুনানিতে হাজির হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সিনেট কমিটির শুনানিতে বলা হয়েছে, ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ৬৯ লাখ ডলার স্থানীয় একটি ক্যাসিনোর হিসাবে রয়েছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব। ওয়াং শুনানিতে কোথায় কোথায় চুরি যাওয়া অর্থ এখনো খানিকটা রয়েছে এর ফিরিস্তি তুলে ধরেন।
রিজাল ব্যাংকের জুপিটার মাকাতি শাখার ছয়টি সন্দেহভাজন হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার প্রথম জমা হয়। পরে তা নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বলা হচ্ছে, এসব অর্থ ব্যাংকব্যবস্থা থেকে বের হয়ে যাওয়ায় চুরি যাওয়া এই অর্থ ফেরত পাওয়া কঠিন।
মন্তব্য চালু নেই