ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটযুদ্ধ কাল

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৬৪৩টি ইউনিয়নে আগামীকাল (৩১ মার্চ) ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করার বিধান রয়েছে। তাই মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে। প্রার্থী এবং ভোটাররা আগামীকালের জন্য অপেক্ষা করছেন। রাত পোহালেই শুরু হবে ভোটযুদ্ধ।

এর আগে গত সোমবার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসি। ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

এ ছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকেই নির্বাচনী এলাকায় নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনী অপরাধের সাজা দিতে সঙ্গে থাকছেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা। তবে এ ধাপের জন্য বাড়তি কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি।

এদিকে বিভিন্ন ইউপিতে নির্বাচনী সহিংসতা অব্যাহত থাকায় ভোট নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন প্রার্থীরা। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ নির্বাচন কমিশনও। যদিও ইসি ভোটারদের অভয় দিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেছেন, ‘চলমান ইউপি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারো সামনে অপরাধ হবে এবং তারা মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকবেন, তা হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষে ইসি যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নির্বাচনের সময় কেউ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সামনে বসে সিল মারবেন আর তারাও কিছু বলবেন, না তা সহ্য করা হবে না।’

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। কোনো অনিয়ম এবং সহিংসতা হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের সব ধরনের নির্দেশ দেওয়া আছে। প্রয়োজনমতো তারা পদক্ষেপ নেবেন। তা ছাড়া সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তাও থাকবেন। তাদেরকেও অনেক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

তিনি সকলকে সতর্ক করে বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে যে নির্বাচন আগামী ৩১ মার্চ হবে এতে যিনি ভোট দেবেন, প্রার্থী হবেন এবং যারা ভোটগ্রহণ করবেন ও যারা ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন আমি সবাইকে সতর্ক করে দিতে চাই। সবাইকে আমি বলতে চাই, কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট রক্ষার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কোনো অনিয়ম হলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, দ্বিতীয় ধাপেও আওয়ামী লীগের ৩১ জন চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ধাপে ৬৪৩ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে ২ হাজার ৬৮৪ জন। এর মধ্যে ১৭টি রাজনৈতিক দলের এক হাজার ৫০৭ জন প্রার্থী ও ১ হাজার ১৭৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ মাঠে নামছে পুলিশ-র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চার দিনের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবেন তারা। নির্বাহী এবং বিচারিক হাকিমও থাকছেন তদারকিতে।



মন্তব্য চালু নেই