তারেক জিয়াকে থামান : সুরঞ্জিত
তারেক রহমানকে থামানোর জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর খাজা নিজামউদ্দিন মিলনায়তনে ‘নোকা সমর্থক গোষ্ঠীর’ উদ্যোগে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারেক জিয়া অর্বাচীনের মতো যেসব কথা বলছেন তাতে সে সীমা লঙ্ঘন করছে। এর পরিনতি ভয়াবহ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরোধী দল থাকতে পারে, কিন্তু একজনের নেই, তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘ভারতের মহাত্মা গান্ধী, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন, রাশিয়ার লেনিন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ন্যালসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে কেউ সমালোচনা করে না।’
রাজনীতিতে বেয়াদবি আর উদ্ধত ব্যবহার পরিহার করতে হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ প্রবীন নেতা বলেন, ‘মন্ত্ররী হঠাৎ হঠাৎ এমন কিছু বক্তব্য করেন যাতে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ, এমনকি রাজনৈতিক দলকেও বিব্রত করে। এ জন্য সরকার বিবেচনা করতে পারে মন্ত্রীদের একটি আচরণবিধি করা যায় কিনা। যেটা যুক্তরাজ্যে আছে।’
মন্ত্রীদের আচরণ অনুকরণীয়, অনুস্মরণীয় হতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীদের একটি অনুকরণীয় শিষ্টাচার প্রয়োজন। তিনি যা ইচ্ছা তা বলতে পারেন না।’
এ ধরনের বক্তব্যে দল আর সরকার নয় সমগ্র জাতিই বিব্রত হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ সমস্যাটি সরকার বা কোনো একটি বিশেষ দলের নয় এটিকে জাতীয়ভাবে ভাবতে হবে।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে নাকি চাতুর্য খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু আমি তো এমন কিছু দেখি না। রাষ্ট্রপতি হজ থেকে আসলেই লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে অস্পষ্টতার কিছু নেই। তাছাড়া বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে কার্যকর না হলেও বাস্তবে তো কার্যকর হয়েই আছে।’
বিরোধী দলের নেতা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনি যত কঠোর আন্দোলন করবেন জনগণ তত কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আপনি ভুল করেছেন আপনাকে আরো অপেক্ষা করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ নেতা মুনীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ মিয়া, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির মিজি প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই