সংসদে অর্থমন্ত্রী :
তারেক-কোকো ৪০ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো সোনালী ব্যাংকের কাছে ৪০ কোটি ১৪ লাখ ২ টাকা ঋণ খেলাপি বলে সংসদকে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে মঙ্গলবার বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দুই ছেলে ড্যান্ডি ডাইং লিমিটেডের নামে সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করেন। কিন্তু আজ অবধি তা পরিশোধ করেননি। ২০১৪ সালের সিআইবি ডাটাবেজে এটি অন্তর্ভুক্ত আছে।’
১৫ ডিসেম্বরের পর নতুন পে- স্কেল
আগামী ১৫ ডিসেম্বের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ও চাকরি কমিশন-২০১৩ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কমিশনে প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর যত দ্রুত সম্ভব পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
সর্বোচ্চ সুদের হার ১৩ %
আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেনের (পটুয়াখালী-৩) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমরা সকল সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সর্বোচ্চ সুদের হার ১৩ শতাংশ করার নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দিয়েছি।’
বর্তমানে সুদের হার এক ডিজিটের নিচে নামার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকগুলো কোনো কোনো প্রকল্পে ৪-১৩ শতাংশ সুদ নিয়ে থাকে।’
খানিকটা আক্ষেপ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সুদের হার কমানোর চেষ্টা করেও তা বাস্তবায়ন করা কঠিন। কেননা এখানে বেশি সুদের হারে ডিপোজিট করা কালচার তৈরি হয়ে আছে। এছাড়া এখানকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমঝোতার প্রয়োজন। ব্যবসায়ীরা-শিল্পপতিরা যখন ব্যবসা করতে যান তখন সুদের হার কমানোর কথা বলেন, আবার তারা যখন ব্যাংকের পরিচালক পদে বসেন তখন সুদের হার বাড়ানোর কথা বলেন। তাদের এই দ্বৈততা বা লোভ কমানো দরকার। তা না হলে সুদের হার কমবে না।’
আগামীতে বিভিন্ন আমানতে সুদের হার কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অলস টাকা বিনিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোম্পানি আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন নির্দেশনা পরিপালন নিশ্চিত করে ব্যাংকিং খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুদের হারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনায়ন, ব্যাংকিং ঋণ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠির কাছে ঋণকে সহজলভ্যকরণ ও তাদের উপযোগী উৎপাদনশীল নতুন প্রোডাক্ট চালুকরণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়ক নীতিমালা গ্রহনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে।’
সাংবাদিকদের টিন
সাংবাদিকদের টিন আছে কি না- মুহিবুর রহমান মানিকের (সুনামগঞ্জ-৫) তারকা চিহ্নিত এই প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, এ মুহূর্তে কতজন সাংবাদিকের টিন আছে তা বলা কঠিন। কেননা, ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকের আয়কর নথি কর অঞ্চল-৭ এর অন্তর্গত। এছাড়া বাইরের সাংবাদিকদের কর্মস্থল ও আবাসস্থল ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় তাদের সকলের টিন সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রদান করা সময়সাপেক্ষ।’
মন্তব্য চালু নেই