তারেকের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে নন-সাবমিশন মামলায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এ চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়। মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিগগিরই এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক আর কে মজুমদার।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সম্পদ বিবরণীর নোটিস জারির পর কমিশনে নির্দিষ্ট সময়ে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার অপরাধে ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি ইকবাল মান্দ বানু বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস জারি করে দুদক। ওই নোটিস ইকবাল মান্দ বানুর পক্ষে তার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন গ্রহণ করেন। অভিযুক্ত ইকবাল মান্দ বানুর বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস জারি করা হলে তিনি ওই নোটিসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রিট পিটিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট নোটিসের স্থগিতাদেশ দেন। পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত করে দেয়।
আপিল বিভাগ সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরের আদেশে রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশ স্থগিত করেন। আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকায় বর্তমানে ওই রিট সংশ্লিষ্ট দুদকের কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা নেই।
সূত্র আরো জানায়, ২০০৭ সালের ২৯ মে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমানের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে চার কোটি ২৩ লাখ আট হাজার ৫৬১ দশমিক ৩৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ সর্বমোট চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ দশমিক ৩৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তার শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
সূত্র জানায়, চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ দশমিক ৩৭ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের মধ্যে জোবাইদা রহমানের নামে ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। তারেক রহমানের দাবি অনুসারে ওই এফডিআরের অর্থ তার শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু তার মেয়ে জুবাইদা রহমানকে দান করেছেন।
দুদকের তদন্তে ওই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং জুবাইদা রহমান ও ইকবাল মান্দ বানু এর মাধ্যমে তারেক রহমানের অবৈধ আয়কে বৈধ করার অপচেষ্টায় সহায়তা করেছে বলে প্রমাণিত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ আদালতে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই