তারুণ্য ধরে রাখতে নতুন দিগন্ত

বুড়ো হতে কে চায়?বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকে বলিরেখা পড়তে শুরু করে। ত্বকের মসৃণতা ও লাবণ্য ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে চাপড়া ঝুলে পড়ে।ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখন পর্যন্ত কেউই পুরোপুরি সফলতা অর্জন করতে পারেনি।

তবে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ ক্ষেত্রে বিশাল সফলতা দেখিয়েছেন।তারা এমন এক ধরনের এনজাইম খুঁজে পেয়েছেন যা আমাদের ত্বককে মসৃণ রাখে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই এনজাইমটির কার্যক্ষমতা থেমে যায়। গবেষকরা মনে করেন, এই আবিষ্কার ত্বক এবং শরীরের অন্যান্য অংশের বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ(মলিকুলার ড্রামাটোলজিস্ট) ও গবেষক প্রধান অধ্যাপক মার্ক বির্চ-ম্যাচিন বলেন, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোষগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালস বাড়তে থাকে।এই প্রক্রিয়াটি খুব সহজেই আমাদের ত্বকে দেখতে পাই। এ সময় ত্বকে সূক্ষ্ম রেখা বৃদ্ধি পায়, বলিরেখা দেখা দেয় এবং চামড়া ঝুলে পড়ে।

মার্ক বির্চ-ম্যাচিন আরও বলেন,এখন আমরা একটি নির্দিষ্ট বায়োমার্কার বা লক্ষ্য খুঁজে পেয়েছি।যা আমাদের বার্ধক্যরোধে চিকিৎসা এবং কসমেটিক ক্রিম তৈরিতে সহায়তা করবে।নানান বয়সী লোকের ভিন্ন ভিন্ন ত্বকের জন্য উপযোগী করে বার্ধক্য প্রতিরোধী চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।তাছাড়া, শরীরের অন্যান্য অংশের বার্ধক্য প্রতিরোধেও চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।

গবেষকরা ছয় থেকে ৭২ বছর বয়সী ২৭ জনের ত্বকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালান।ইনভেস্টিগেটিভ ড্রামাটোলজি জার্নালে গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়।



মন্তব্য চালু নেই