তারুণ্যের বন্ধুত্ব

ফারিন সুমাইয়া : বন্ধু শব্দটির মাঝে লুকিয়ে আছে হাজার অনুভূতি। কখনো অভিমান আবার কখনো হাসি। রাগ কিংবা খুনসুটি সবকিছুই এই বন্ধুত্বের অংশ। মানুষের জীবনে বন্ধু থাকা খুবই প্রয়োজন। একটি জীবন অর্থহীন যখন তা বন্ধুহীন। আর এই বন্ধুত্বের যাত্রা মানুষের জীবনে শুরু হয় সেই ছেলেবেলা থেকে। আপনার দুঃখের সময়ের একমাত্র অবলম্বন যেমন এই বন্ধু, তেমনই কখনো কখনো আপনার জীবনের জন্য ভুল হতে পারে এই বন্ধুত্ব।

কৈশোরে বন্ধু নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি আপনার জীবনের ঠিক কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তা নির্ভর করে এই বন্ধুত্বের ওপরেই। স্কুল জীবন শুরুর আগে যে বন্ধুত্ব থাকে তা থাকে কেবলই সাময়িক। এই সময়ে একটি শিশু আশেপাশের মানুষের সাথে কীভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হয় তা নিজের ভেতর আয়ত্বে আনে। এরপরেই স্কুল, কলেজ আর ভার্সিটি জীবনের এর বন্ধুত্ব।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কৈশোরের বন্ধুত্ব। এই সময়টা একটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় ভালো পথে যাওয়ার সম্ভাবনা যেমন থাকে তেমনই থাকে খারাপ পথে যাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই এই কৈশোরের বন্ধুত্বের সময় আশেপাশে যারা আছেন তাদের উচিত সেই ছেলে বা মেয়েটিকে সঠিক পরামর্শ দেওয়া।

মা বাবার উচিৎ সন্তানের সাথে একটু বেশি সময় কাটানো। তাকে নিজেদের মাঝে রেখে ভালো খারাপের মাঝে পার্থক্য দেখানো। তাদের এমন পথে নিয়ে যাওয়া যে পথে সন্তানটি একটি সুন্দর পরিবেশ আর কাছের কিছু বন্ধু পাবে।

কৈশোরের সময়টা একটি ছেলে বা মেয়ের জন্য জীবনের অন্যতম মোড়। এই সময়ে সন্তানকে উচিৎ তার মা বাবার সাথে যেমন সময় কাটানো তেমনি তার আশেপাশের বন্ধুরা কেমন, তাদের চিন্তাভাবনা কেমন, তাদের আচরণ কেমন তা তাদের সাথে ভাগাভাগি করা। তবেই কৈশোর হবে সুন্দর। আর নির্মল বন্ধুত্ব টিকে থাকবে আজীবন।



মন্তব্য চালু নেই