তাবলীগে ভিসা পাবে না পাঁচ দেশ

এ বছর বিশ্ব ইজতেমায় এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচটি দেশের মুসল্লিদের ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

দেশগুলো হলো- লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, সিয়েরালিয়ন, গিনি ও মালি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ দেশগুলোর মুসল্লিদের আসতে নিরুৎসাহিত করবো। একই সঙ্গে এ সব দেশের নাগরিকদের ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত দেশগুলোর বাংলাদেশ মিশনে পৌঁছে দেয়া হবে।’

আগামী ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ও ১৬, ১৭ ও ১৮ দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবারের বৈঠকে গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ, র‌্যাব, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, ডেসকোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সুষ্ঠুভাবে বিশ্ব ইজতেমা শেষ করার জন্য তিনটি সাব-কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। এগুলো হলো- বিশ্ব ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতি, পরিবেশ উন্নয়ন কমিটি। আগত বিদেশিদের ভিসা ইস্যুকরণ কমিটি এবং ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান কমিটি।

প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, বিদেশিদের এক মাসের ভিসা দেয়া হবে। তবে যে মুসল্লিরা ইজতেমা পরবর্তী চিল্লায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক তাদের সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের ভিসা দেয়া হবে। তবে যারা চিল্লায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক তাদের পৃথক তালিকা চাওয়া হয়েছে তাবলিগ জামাতের প্রতিনিধি দলের কাছে।

বিশ্ব ইজতেমার সুযোগ নিয়ে উগ্রবাদী সংগঠন বা ব্যক্তি যাতে কোনো ধরনের তৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম তৎপর থাকবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে ৩১টি জেলা এবং দ্বিতীয় পর্বে ৩২ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন।

আগতদের সুবিধার্থে ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের আশেপাশের সড়কগুলোয় যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া বিশেষ ট্রেন, বাস ও জলযানের ব্যবস্থা করা হবে। তুরাগ নদীতে পন্টুন ও ভাসমান ব্রিজ নির্মাণ। আগত মুসল্লিদের প্রাথমিক ও জরুরি চিকিৎসা দেয়ার জন্য টঙ্গী জেনারেল হাসপাতালসহ আশপাশের কয়েকটি ক্লিনিক প্রস্তুত রাখা, মেডিকেল টিম গঠন ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে।



মন্তব্য চালু নেই