তাদের চোখে যুদ্ধাপরাধী নন সাকা-মুজাহিদ!
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা ফলাও করে প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। বেশিরভাগ গণমাধ্যমেই তাদের যুদ্ধাপরাধী উল্লেখ করা হলেও, ব্যতিক্রম পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন এবং মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। তাদের চোখে এই দুজন যুদ্ধাপরাধী নন, বিরোধীদলীয় নেতা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার পরও বাংলাদেশে দুজন শীর্ষ স্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।’
অপরদিকে ডন পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় দুজন বিরোধীদলীয় নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। সেই আবেদন নাকচ করে ফাঁসি কার্যকরের আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
আন্তর্জাতিক আরেক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনের শিরোনামে এদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেও, যুদ্ধাপরাধে দায়ে ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি উল্লেখ করে।
প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি অবশ্য সাকা এবং মুজাহিদকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলেই প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে।
এছাড়ও ভারতীয় প্রায় সবগুলো গণমাধ্যমেই প্রকাশ করা হয়েছে এই দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা।
শনিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আল বদর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও একাত্তরের ‘চট্টগ্রামের ত্রাস’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীরর মৃত্যুণ্ড কার্যকর করা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এরশাদের শাসনামলে বিভিন্ন সময়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন, গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
অপরদিকে ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর সমাজকল্যাণমন্ত্রী হন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ।
মন্তব্য চালু নেই