তাজিকিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে প্রতিবেশী দেশ ভারতের মেয়েদের ৩-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ।

এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের মেয়েদের গোল বন্যায় ভাসায় বাংলাদেশের কিশোরীরা। তাদের উড়িয়ে দেয় ৯-০ গোলে। পাশাপাশি নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল।

আজ শনিবার তাজিকিস্তানের ঘরের মাঠে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও তাজিকিস্তানের মেয়েরা।

ম্যাচে স্বাগতিকদের ৯-১ গোলে গুড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে গোলাম রাব্বানী হেলালের দল।

তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালের প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও চার গোল দেয় তাজিকিস্তানের জালে। বাংলাদেশের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন মনিকা চাকমা ও তহুরা। এ ছাড়া দুটি গোল করেন আনুচিং। একটি গোল আসে আঁখির পা থেকে।

শনিবার ম্যাচের ৫ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন তহুরা (১-০)। ৮ মিনিটের মাথায় আনুচিং গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ম্যাচের ১১ মিনিটে তহুরা তার জোড়া গোল পূর্ণ করেন। আর বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে। ১৩ মিনিটে আনুচিংও তার জোড়া গোল পূর্ণ করেন। ফলে ১৩ মিনিটেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোলের দেখা পান মনিকা চাকমা। তার গোলে ভর করে প্রধমার্ধে ৫-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিশ্রামে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৪৪ মিনিটে মনিকা চাকমাও জোড়া গোল পূর্ণ করেন। আর বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৬-০ গোলে। ৫৭ মিনিটে মনিকা হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন ৭-০ গোলে। মনিকার হ্যাটট্রিকের পর একটি গোল শোধ দেয় তাজিকিস্তানের মেয়েরা। তবে ৬১ মিনিটে আঁখি গোল করে দলকে ৮ গোলের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে তহুরা তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ফলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয় ৯-১ গোলে।

উল্লেখ্য, এই টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গেল বছর স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে এ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।

২০১৫ সালে এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে ভুটানের জালে বাংলাদেশের মেয়েরা দিয়েছিল ১৬ গোল। হারিয়েছিল শক্তিশালী ইরানকেও। ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের এপ্রিলে। কিন্তু সে সময় নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প হওয়ায় ফাইনাল পিছিয়ে যায়। গেল বছরের ডিসেম্বরে নেপালেই পুনঃনির্ধারিত ফাইনালে স্বাগতিকদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশের কিশোরীরা।



মন্তব্য চালু নেই