‘তাইওয়ানি দম্পতির ওপর হামলায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই’
রাজধানীর উত্তরায় তাইওয়ানি দম্পতিকে হত্যাচেষ্টা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে হয়েছে। এখানে কোনো রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল কিংবা জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে স্বার্থ হাসিলের জন্য তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটককৃত ওই দম্পতির প্রতিষ্ঠান জিং জিং ইয়াং ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির কর্মচারী জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দারা এসব তথ্য পেয়েছে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম মিডিয়া শাখায় উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, পুলিশ ধারণা করছে, হামলাকারীরা নকল চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ভেতর থেকে ওই দুইজন বাধা দিলে হামলাকারীরা ভারি কোনো বস্তু দিয়ে তাদের মাথায় আঘাত করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ওই ছয় লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আটককৃত জাহাঙ্গীর ওই দম্পতির কর্মচারী থাকলেও বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানে কাঁচামাল সরবরাহের কাজে নিয়োজিত।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ১৪/এ রোডের ৮ নম্বর বাসায় তাইওয়ানি দম্পতির ওপর হামলা হয়।পরে আহত তাইওয়ানি নাগরিক ওয়াংলিচি (৬৮) ও তার স্ত্রী লিলিহুয়া (৬০) কে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাইওয়ানের ওই দম্পতি প্লাস্টিকের দরজা তৈরির ব্যবসা করতেন। গাজীপুরের বড়বাড়ী এলাকায় জিং জিং ইয়ান স্টার ইন্টারন্যাশনাল নামের তাদের একটি কারখানা রয়েছে।
অ্যাপোলো হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার চিন্ময় ভট্টাচার্য জানান, হকিস্টিক দিয়ে তাদের আঘাত করা হয়েছে। ওয়াংলিচি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাকে ভেন্টিলেশনে অভজারভেশনে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওই দম্পতি ব্যাংক থেকে ছয় লাখ টাকা তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। হামলার ঘটনার পর থেকে ওই টাকা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) সমির হাসিব জানান, রাতে তিনজন লোক ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে একজনের মুখোশ পরা ছিল। অন্য দুজন কারখানায় কন্টাক্টে কাজ করা রাজু ও সাজু। তাদের চিনে ফেলায় ওই দম্পতির ওপর হামলা চালায় বলে রাতে তাকে ফোনে জানিয়েছিলেন লিলিহুয়া।
এ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা তাইওয়ানে থাকেন। হামলার সংবাদ পেয়ে তারা বাংলাদেশে আসছেন বলেও জানান তিনি। হামলার ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই