তবুও স্বপ্ন দেখি…

শত শত হতাশা,হাজারো বাঁধা সত্তেও বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখে। কিছু কিছু চোখে কোটি মানুষের স্বপ্ন লুকিয়ে থাকে।জাতির তেমনি এক মেধাবী কৃতি সন্তানের নাম মেহদী হাসান খান।

দূরন্ত এই মেধাবীর শিক্ষা জীবনের শুরু হয় আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ঢাকায়। এরপর ভর্তি হত অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ নটর ডেম কলেজে। তারপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি।উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ভর্তি হন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে।

ডাক্তারি পড়তে পড়তে মোটামোটি একটা নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেন। তৈরি করেন “অভ্র” নামে ফনোটিক বাংলা লেখার মুক্ত ও বিনামূল্যের সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারে বাংলা লেখার অত্যন্ত সহজ একটি মাধ্যমে এবং বেশ জনপ্রিয়।

মেহদী হাসান খান এর ব্যাপারে তার এক বন্ধু লিখেছিলেন-

“একজন মানুষ একটা সফটওয়্যার তৈরীর জন্য কি পরিমাণ পরিশ্রম করতে পারে (এবং যাতে কোন বৈষয়িক লাভ জড়িত নয়) তা মেহদীকে না দেখলে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না। রাতের পর রাত জেগে অভ্র নিয়ে কাজ করেছে। পড়াশুনা করেছে। খুব কাছের মানুষগুলোর ফোন পর্যন্ত ধরে নি এই সময়ে। সমস্ত ব্যক্তিগত জীবন বাদ দিয়ে মেতে ছিল অভ্র ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কিংবা অভ্র এর চিন্তায়। কত কিছুই না পড়েছে, শিখেছে। ভিজুয়াল বেসিক থেকে শুরু করে ডেলফি, অ্যালগোরিদম, বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা বানান রীতি। সাথে মেডিকেল বিষয়ক চিন্তাগুলো ছিল দুঃস্বপ্নের মত”

অভ্র প্রথম রিলিজ হয় ২৬ মার্চ, ২০০৩ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে। এরপরে বেশ কয়েকটি ভার্সনে বিভিন্ন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, উন্নয়ন হয়েছে। অভ্র টিমে আরো নতুন নতুন সদস্য যোগ হয়েছে ডেভেলপমেন্টের কাজে।

অভ্র টিমের বিস্তারির জানা যাবে অভ্র সফটওয়্যারে “about avro keyboard” এ ক্লিক করে। “ভাষা হোক উন্মুক্ত” শিরোনামের লোগোটি যখন স্ক্রীণে ভেসে উঠে তখনি গর্ব করে বলি এটা আমার দেশের মানুষের কাজ।



মন্তব্য চালু নেই