সাগর-রুনী হত্যা মামলা
তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতার কথা স্বীকার প্রতিমন্ত্রীর
সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যা মামলার তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কথা স্বীকার করলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে প্রতিমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলে তিনি তদন্তে সরকারের দীর্ঘসূত্রতার বিষয়টি স্বীকার করে নেন।
ডিইউজে সভাপতি আলতাফ মাহমুদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন বিএফইউজের যুগ্ম-মহাসচিব সাইফুল ইসলাম তালুকদার, ডিইউজে সহ-সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা থাকলেও এখনো এ হত্যার তদন্ত চলছে। আশা করি হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবারের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির মরদেহ। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে ঘোষণা দেন। এরপর পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছিলেন, তদন্তে ‘প্রণিধানযোগ্য’ অগ্রগতি হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর ডিএনএ পরীক্ষায় রহস্য উদ্ঘটন হবে বলে দাবি করেন। কিন্তু সব আশা-ভরসার ফলই শূন্য।
মন্তব্য চালু নেই