তথ্যগুলো সত্যিই আপনার অজানা কিনা বলা মুশকিল৷ তবে আপনি যদি ঢাকার বাইরের বাসিন্দা হয়ে থাকেন, তবে না জানা অসম্ভব নয়৷ আর বিদেশি হলে তো কথাই নেই৷ চলুন জেনে নেই সেই তথ্যগুলো।

ক্রিকেট পাগল ঢাকা : বাংলাদেশ ক্রিকেট বলতে পাগল৷ ক্রিকেট পাগল দেশটির রাজধানীতে পাগলামিটা তাই একটু বেশি৷ ঢাকার অলিগলি, পার্ক, রাস্তাঘাট এমনকি বাড়ির ছাদেও খেলা হয় ক্রিকেট৷ শুধু একটু ফাঁকা জায়গা, ব্যাট আর টেনিস বলে পেলেই হলো।

চায়ের প্রতি আসক্ত ঢাকা: বলতে গেলে রাস্তার মোড়ে মাড়েই রয়েছে চায়ের দোকান৷ মিষ্টি, দুধে ভরা গরম চা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পান করার মজাই আলাদা৷ পরিসংখ্যান বলছে, একজন রিকশাচালক নাকি প্রতিদিন গড়ে ২০ কাপ পর্যন্ত চা পান করেন।

রিকশা আর্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা!: যদিও ঢাকা শহরের অনেক বড় রাস্তায় এখন রিকশা চলায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তবুও অলিগলিতে বাহন একটাই – রিকশা৷ আর সেই রিকশায় দেখা যায় নানা রকম চিত্রশিল্প৷ এ সব যারা আঁকেন, তারাও বেশ ‘প্রফেশনাল’।

বড় সমস্যা যানজট: এশিয়ার অনেক বড় শহরেই যানজট বড় সময়ে। তাই ঢাকায় ঘুরতে যাওয়ার আগে বিষয়টি মাথায় রাখবেন৷ আর ভুলেও ট্রাফিক লাইট বিশ্বাস করবেন না৷ কেননা, সেগুলো কার্যত কেউই ফলো করে না।

যে নদী কখনো ঘুমায় না: বুড়িগঙ্গা নদী হচ্ছে ঢাকার প্রাণশক্তি৷ পুরনো ঢাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা এই নদী দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ত থাকে৷ তবে দূষণের শিকার নদীটির অবস্থা ক্রমশ নাজুক হয়ে যাচ্ছে।

অসাধারণ সব বেকারি: যদিও ঢাকার মানুষ এখনো ব্রিটিশ ব্রেকফাস্ট কিংবা ইউরোপীয়দের মতো সকালের নাস্তায় তেমন অভ্যস্ত নয়, তবুও বেকারির অভাব নেই সেখানে৷ মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে চাইলে অনায়াসে ঢু মারতে পারেন কোনো এক বেকারিতে।

প্রশান্তি চাইলে চলে যান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়: ঢাকা শহরে কোলাহলমুক্ত জায়গা পাওয়া মুশকিল৷ পাওয়া যাবেই বা কীভাবে? ছোট্ট শহরটিতে যে এক কোটির বেশি মানুষের বাস৷ তবে একটা ব্যতিক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস৷ কিছুটা নিরিবিলি, কোলাহলমুক্ত পরিবেশ পাবেন সেখানে৷ তথ্যসূত্র: ট্র্যাভেল বিষয়ক একাধিক ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গ্যালারিটি তৈরি করা হয়েছে। -ডিডাব্লিউ