ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ৩৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায়ও জালিয়াতির অভিযোগে মোট ৩৬ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসের বাইরের ১২টি কেন্দ্র থেকে ১৭ জন এবং বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের অভিযানে জালিয়াত চক্রের ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার আটক ১৭ জন হলো- অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে বুল্টি বালা, মেহেদি হাসান খান ও মেহেদি হাসান রানা; আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মোছা. খায়রে উম্মে সালমা ও শারমিন আক্তার শিমু; উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল থেকে মেহেদি হাসান ও কৌশিক ফারহান; লালবাগ মডেল স্কুল থেকে ইমদাদুল ইসলাম; শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ থেকে রিয়াদ আরফিন, বেগম বদরুন্নেছা মহিলা কলেজ থেকে আবিদ ইসলাম ও শাহরুখ আলম; মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ফৌজিয়া জামান নবনী; খিলগাঁও মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ফারিয়া বিনতে গফুর; মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মেহেদি হাসান; সেন্ট্রাল মহিলা কলেজ টিকাটুলি থেকে ওমর ফারুক; সিদ্দেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে রিয়াদ হাসান রিফাত; এবং মোহামম্দপুর সেন্ট্রাল কলেজ থেকে মোহাম্মদ রনি খান।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজ্বী মুহম্মদ মুহসীন হল থেকে জালিয়াত চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে আরও ১৭ জনকে আটক করে ব্যাব। আটক ১৯ জন বর্তমানে র্যাবের হেফাজতে আছেন।
এই ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলো- মোজাম্মেল হক লেলিন, এফ কে এম খালেদুর রহমান, শুক্কর আলী নিরব, শ্রীকান্ত ভদ্র, আবুল বাসার, মীর রেজোয়ান মাসুদ তন্ময়, মনিরুল ইসলাম, জামিল খান, জুবায়ের আহমেদ, জসিম উদ্দিন, সুমন মিয়া, কাজি শামীম হাবিব, অরিত্র সিনহা, নুরুজ্জামান, কাদির হোসেন, শামীম সিকদার ও সঞ্চিতা দাস।
এদের মধ্যে মোজাম্মেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ আলী জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কেন্দ্র বাতিল করেছি। যেসব কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ আসছে তার সত্যতা পেলে কেন্দ্রগুলোকে বাতিল করা হবে।
মন্তব্য চালু নেই