ঢাকায় আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি একদিনের সফরে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর এবং পরস্পরের প্রতি আরও বিশ্বাস বাড়ানোর প্রয়াস থাকবে তার এ সফরে।

এ ছাড়াও বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি একটি অফিসিয়াল সফর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে জন কেরির আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে।’ এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও কেরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ঢাকা থেকে এরপর ভারতে যাবেন। তার সফর পরিকল্পনার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গত দুই সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের সাথে অন্তত চারটি বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে।

বাংলাদেশে গত জুলাই মাসে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে যাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ৩০ জন নিহত হন। এ ধরনের কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রেও অনেকে হতাহত হয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র এবং এ বিষয়ে গত এক মাসে কয়েকটি মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করেছে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আগের থেকে অনেক বেশি পরিপক্ক। তিনি বলেন, গত ছয় বছরে মোটা দাগে দুইদেশের সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় ছিল গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোক্তা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার। কিন্তু এর আড়ালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি হচ্ছে দুইদেশের সম্পর্কও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়েছে।’

এ ছাড়া গত পাঁচ বছর ধরে প্রতি বছরই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে অংশীদারিত্ব সংলাপ চলে আসছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ে নিরাপত্তা সংলাপ এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে মিলিটারি-মিলিটারি সংলাপও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনার জন্য টিকফা ফোরাম ব্যবহার করা হচ্ছে যার তৃতীয় বৈঠক এ বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ভারত ছাড়া অন্য কোনও দেশের সাথে নেই বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।

গত জুন মাসে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক পঞ্চম অংশীদারিত্ব সংলাপ করার জন্য ওয়াশিংটনে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিশেষ সহকারী পিটার লেভয় ও জন কেরির চিফ অব স্টাফ জোনাথন ফিনারের সঙ্গে সম্ভাব্য সফর নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়।

২০১১ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ঢাকা সফর করেন।



মন্তব্য চালু নেই