ডিসেম্বরে ঢাকা ঘেরাও করা হবে

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘ডিসেম্বর থেকে ‘ঘেরাও’ আন্দোলন শুরু হবে। প্রথমে ইউএনও অফিস, তারপর থানা এবং ডিসি অফিসের পর ঢাকা ঘেরাও করা হবে।’

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার মাজার প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনার উচিত জেলখানাগুলো তড়িৎ গতিতে সংস্কার করা। সেখানে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা। কারণ অচিরেই তিনি ও তার তথাকথিত মন্ত্রীরা সেখানে ঢুকবেন। আর সেখানে যারা আছেন তারা বেরিয়ে আসবেন।’

তিনি বলেন,‘শহীদ জিয়ার পরিবারের কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলে সারা বাংলায় আগুন দাউ দাউ করে জ্বলবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মওলানা ভাসানী ও শহীদ জিয়া একে অপরের পরিপূরক ছিলেন। মওলানা ভাসানী সামরিক শাসন পছন্দ না করলেও জিয়াকে সমর্থন করতেন। জিয়াউর রহমানই ভাসানীর মৃত্যুর পর তার কফিন কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেন, ‘মওলানা ভাসানী আজীবন অন্যায়, অত্যাচার আর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন। শাসক শ্রেণী তাকে ভয় পেত। আওয়ামী লীগ সরকারই তাকে বন্দি করে রেখেছিল। ভাসানীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিএনপি মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও আন্দোলন শুরুই করিনি তাই সরকারের কছে বিষফোঁড়া হয়েছি। আন্দোলন শুরু হলে যেমন কুকুর তেমন মুগুর ব্যবহার করা হবে।’

জেলা বিএনপির সভাপতি আহমেদ আযম খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু, যুগ্ম-সম্পাদক আতাউর রহমান জিন্নাহ, শহর বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক সানু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিয়াউল হক শাহীন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আজমল হোসেন পাইলট, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ পাহেলী প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম তোফা।



মন্তব্য চালু নেই