‘ডিভোর্স’ ঘটাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো

ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো (টুইটার, ফেসবুক, ওয়ার্ক আউট, বাজ ইত্যাদি) অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বৃটেনে প্রতিটি ৭টির মধ্যে ১টি দম্পতির সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে। একটি বৃটিশ আইনি ফার্ম এ তথ্য দিয়েছে। তারা বলেন, সঙ্গী ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে বেশীর ভাগ ডিভোর্স সংগঠিত হচ্ছে।

Slater and Gordon নামের দুজন আইনজীবী গবেষণা করে দেখেছেন যে, সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক সম্পর্ক বিনষ্ট করার জন্য “সবচেয়ে বিপজ্জনক” জায়গা ।

পারিবারিক আইনের প্রধান অ্যান্ড্রু নিউবুরি, স্লেটার এবং গর্ডন একটি অনলাইন বিবৃতিতে জানায়, ‘পাঁচ বছর আগে, বিয়ের পড়ে ফেসবুক খুব কমই ব্যাবহার হতো, কিন্তু এখন, কিন্তু বর্তমানে এটি সবার জন্য একটি সাধারণ ও আবশ্যক হয়ে দেখা দিয়েছে। যার ফলে বেড়ে যাচ্ছে বিবাহবিচ্ছেদ।

তিনি আরও বলেন যে, ‘আমারা দেখেছি যে সামাজিক মাধ্যম এর মাধ্যমে অনেক নতুন বিয়েও সংঘটিত হচ্ছে’।

ফলাফল অনুযায়ী, প্রায় অর্ধেক মানুষ গোপনে তার পার্টনার এর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চেক করে। এবং প্রতি পাঁচ জনে একজন ফেসবুকে তার সাথে সঙ্গীর সম্পর্ক জানান দিতে চায়।

২৫ শতাংশ বিবাহিত দম্পতি বলেছেন, ‘সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার এর কারনে তারা সপ্তাহে অন্তত একদিন ঝগারা করেন’, এবং ১৭ শতাংশ বিবাহিত দম্পতি বলেছেন, ‘সঙ্গীর অতিরিক্ত অনলাইনে থাকার কারনে তারা প্রায় প্রতিদিনি ঝগড়া এমনকি মারামারি পর্যন্ত করে থাকেন’। (রিপোর্ট: গ্রিক ওয়্যার ডট কম)

সর্বশেষ গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত সমীক্ষায় ৫৮১ জন টুইটার ব্যবহারকারী অংশ নেন৷ তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁরা দিনে কতবার টুইটার ব্যবহার করেন এবং এর ফলে তাদের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে কোনো বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে কিনা৷

ফলাফলে দেখা গেছে, যাঁদের মধ্যে টুইটার ব্যবহারের প্রবণতা বেশি, তাঁদের দাম্পত্য জীবনে এ সংক্রান্ত বিরোধও বেশি৷ এবং সম্পর্কে চির ধরানোর জন্য এর ভুমিকাও নেহাতই কম নয়।

এ সব তথ্য-উপাত্ত থেকে এটাই বোঝা যায় যে, সামাজিক নেটওয়ার্কের সঠিক ব্যবহার নিয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন৷ এবং গবেষণার আলোকে আরও বলা যায়, দাম্পত্য জীবনে ফেসবুক এবং টুইটার উভয়েরই নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে৷

সূত্র: জি-নিউজ।



মন্তব্য চালু নেই