জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশন গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। আর সেই অধিবেশন নির্বিঘ্নে চলা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদ ভবন ও পার্শ্ববর্তী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সংসদ ভবন ও তার আশপাশে সকল প্রকার অস্ত্র-শস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং যে কোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিষিদ্ধ এলাকা ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ। সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক চৌধুরীর ধানমণ্ডিস্থ ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বোমা হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ।

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হাসান খান নিখিলের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম।

এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম  বলেন, ‘এ সমাবেশ এলাকা নিষিদ্ধ এলাকার মধ্যে পড়ে না। তাই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।’

অথচ ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো নিষিদ্ধ এলাকাগুলো হলো- ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে বাংলামটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রীন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমণ্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নং সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণীর সংযোগস্থল থেকে পুরাতন নবম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণীর পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এ সীমানার মধ্যে অবস্থিত সমুদয় রাস্তা ও গলিপথ।

গত রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া এ আদেশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।