ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি চাল সংগ্রহ অভিযান বন্ধ
জায়গার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের খাদ্য গুদামগুলোতে সংগ্রহের জন্য সরকারের চাল সংগ্রহ অভিযান।এমনিতেই চলতি বোরো মৌসুমে ধান-চালের ন্যায্য দাম না পেয়ে কৃষকরা লোকসান গুনে। তার উপর চাল সংগ্রহ অভিযান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষকদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মিল মালিকরাও।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট ৬৭ হাজার ৬২২ মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার ২৫৯ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।গত ১ মে থেকে ধান-চাল সংগ্রহের সরকারি ঘোষণা থাকলেও ঠাকুরগাঁও সদরে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয় ২৫ মে থেকে ।খাদ্যশস্য ক্রয় উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন ( এমপি)।এর আগে ২৩ জুন পর্যন্ত জেলায় চাল সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ১৬৮ মেট্রিক টন।
জেলায় খাদ্য গুদাম রয়েছে মোট ১২টি। এ গুদামগুলোর ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার মেট্রিক টন। তবে জরুরি প্রয়োজনে আরও ২৫ শতাংশ খাদ্য শস্য মজুদ করা যায়।বর্তমানে গুদামগুলোতে খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে ৫৮ হাজার মেট্রিক টন। স্বাভাবিক মজুদের চেয়ে এমনিতেই গুদামে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। ধান ও চাল ক্রয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৯ হাজার মেট্রিক টন ।তার মধ্যে সংগৃহীত ১৫ হাজার মেট্রিক টন বাদ দিলে এখনো প্রায় ৫৪ হাজার মেট্রিক টন ধান-চাল কেনা বাকি রয়েছে।গুদামে জায়গা না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে সংগ্রহ অভিযান।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চৌধুরী মোছাব্বের হোসেন জানান, গুদামের খাদ্যশস্য অন্যত্র স্থানান্তর করে দ্রুত গুদাম খালি করার ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।এদিকে সরকারি ক্রয় অভিযান সফল করতে মালামাল দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে গুদাম ফাঁকা করার দাবি জানিয়েছেন জেলার মিল মালিকরা।
মন্তব্য চালু নেই