ট্রেডমার্ক আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন
ট্রেডমার্ক আইন-২০১৪’র খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ট্রেডমার্ক বিরোধ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির সময় ১২০ কার্যদিবস থেকে বাড়িয়ে ৩৬০ কার্যদিবস করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রেডমার্ক(সংশোধন) আইন,২০১৪ ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন,বর্তমান আইনে ট্রেডমার্ক বিরোধ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে ১২০ কার্যদিবস সময় দেয়া রয়েছে। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এ সময় অবাস্তব,এই সময়ে মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হয় না। এ কাজটি করা হয় সাতটি ধাপে। এ জন্য ৩০০ এর বেশি কার্যদিবসের প্রয়োজন হয়। এ কারণে ৩৬০ কার্যদিবসের মধ্যে এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তির সুযোগ রাখা হয়েছে বলে জানান সচিব।
১৯৪০ সালে ট্রেডমার্ক আইন করার পর ১৯৬৩ সালে এ আইনের বিধি প্রণয়ন হয়। সর্বশেষ ২০০৯ সালে নতুন ট্রেডমার্ক আইন করা হয়। ২০০৯ সালের ট্রেডমার্ক আইন সংশোধন করেই এ নতুন আইন হচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।
এই খসড়ায় মামলা নিষ্পত্তির সময় বাড়ানো ছাড়াও ভাষাগত কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে বলে জানান মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা। তিনি জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০১৪ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিক (জুলাই- সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদনও এদিন বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের গতিপ্রকৃতি ভাল। এ তিন মাসে মন্ত্রিসভা-বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ডায় ৬০ শতাংশ।
১৯৪০ সালের আইনটি ২০০৯ এর পর আর সংশোধন করা হয়নি এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মূলত ট্রেডমার্ক সম্পর্কিত বিরোধ নিরসনে আইনটিতে সংশোধন আনা হচ্ছে। এ সম্পর্কিত বিরোধ নিরসনে পূর্বে ১২০ দিন সময় ধার্য থাকলেও সংশোধনীতে তা বৃদ্ধি করে ৩৬০ দিন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,বর্তমান আইনে ট্রেডমার্ক বিরোধ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে ১২০ কার্যদিবস সময় দেওয়া রয়েছে, অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এ সময় অবাস্তব, এ সময়ে মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হয় না। এ কাজটি করা হয় ৭টি ধাপে। এজন্য তিনশ’র বেশি কার্যদিবসের প্রয়োজন পড়ে। ২০০৯ সালের ট্রেডমার্ক আইন সংশোধন করে এ নতুন আইন করা হচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এ সংশোধনীর প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়।সংশোধিত আইনে মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা বৃদ্ধি ছাড়াও ভাষাগত দিকেও কিছু স্পস্টিকরণ করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০১৪ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের গতি প্রকৃতি ভালো, এ তিন মাসে মন্ত্রিসভা-বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। এছাড়া মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জুলাই- সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। তাছাড়াও জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে বিস্তারিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নিউইয়র্ক সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্তব্য চালু নেই