ট্রাইব্যুনাল রাখতে পুনর্বিবেচনার পাল্টা চিঠি দেবে মন্ত্রণালয়

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরনো হাইকোর্ট ভবন থেকে সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন যতবার চিঠি দেবে ততবারই তা না সরানো জন্য পুনর্বিবেচনা করতে পাল্টা চিঠি দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের আয়োজনে নারী, শিশু আদালত ও বিশেষ জজদের কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের অভিজ্ঞতা ছিল না। ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশন টিম গঠন করেছি। পর্যায়ক্রমে তাদের অভিজ্ঞতা বেড়েছে। আজকে এটা সারাবিশ্বে স্বীকৃত। এই ট্রাইব্যুনাল সুষ্ঠু বিচার উপহার দিচ্ছে।

চিঠি চালাচালির শেষ অবস্থান কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর শেষ অবস্থানটা বলতে পারবো না যে, এখান থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেয়ার যে আদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে। যতবারই আদেশ পাই ততবারই আমি এটা পুনর্বিবেচনার জন্য বলবো।

নির্বাচন কমিশন নিয়ে সরকারের আইন করার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধানে এটা স্পষ্টভাবেই লেখা আছে, এটা রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন। যদি আইন প্রণয়ন করতে হয় তাহলে রাষ্ট্রপতিই বলবেন। রাষ্ট্রপতির নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি আলাপ আলোচনা করছেন। সেই ক্ষেত্রে সরকার থেকে এমন কোনো কথা আমি বলতে চাই না। যেক্ষেত্রে এ আলাপ আলোচনার সাফল্যের বিঘ্নিত হয়। এ সরকার বদ্ধপরিকর একটা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে। আমরা চেষ্টা করছি এ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এমন একটা বিষয় বেরিয়ে আসুক যে, শেখ হাসিনার সরকারের ইচ্ছা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

আইন করতে রাষ্ট্রপতি আদেশ দিলে আগামী সংসদ অধিবেশনে এ বিষয়ে কোনো আইন করতে আপনাদের প্রস্তুতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের একটি লেজিসলেটিভ বিভাগ আছে। রাষ্ট্রপতি কিছু করার জন্য যখন নির্দেশ দেবেন, আমরা নিশ্চয় সেই কাজটা ত্বরিত করার ক্ষমতা রাখি।

তিনি বলেন, আপনারা একটু অপেক্ষা করেন। এ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি কি সুপারিশ করেন। রাষ্ট্রপতি যেই সুপারিশ করেন সেটা আমরা মানতে বাধ্য।

হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে নতুন বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি বিচারক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আমার মনে হয়, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে বিচারপতির সংকট দেখা দিলে তখনই বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানাবো। সে ক্ষেত্রে চলমান প্রক্রিয়া যখনই প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে তখনই বিচারপতি নিয়োগ হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়োগটা যাতে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকে এবং যোগ্য লোক নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করা।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট একটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ আদেশে বলেছেন, কনসিডার করে দাঁড়িপাল্লা নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার না করার বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচন কমিশন দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে এটা ভেটিংয়ের জন্য। প্রতীক নির্বাচনের এখতিয়ার হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন যদি কোনো প্রতীক বাদ দিতে চায় বা কোনো প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করতে চায়, আইনত সেটা তারা পারে। আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন দাঁড়িপাল্লা বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা ঠিক। আইনত যেহেতু তারা সেটা পারে, আমরা বলেছি, এটা ঠিক।

বিচারকদের আচারণ বিধি করে গেজেট প্রকাশের জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সময় দিয়েছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিচারাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।



মন্তব্য চালু নেই