টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সামর্থ্য অনেক অনেক বেশি। সেজন্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও আমরা অবশ্যই এগিয়ে থাকবো।

সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এসব কথা জানান।

চলতি বছর সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জাতিসংঘ এবার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) গ্রহণ করেছে । এসডিজি পূরণে ২০১৫ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ বছর মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব এ বিষয়ে বলেন, রোববার রাতে জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের প্রায় সবগুলো সদস্য দেশই এসডিজির লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। আসছে সেপ্টেম্বরে (২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তা পাস হবে।

পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ২০০০ সালে কেউ ভাবেনি বাংলাদেশে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করবে। যেখানে পৃথিবীর ৫০টি দেশ এখনও তাদের এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি সেখানে আমরা এমডিজি-তে যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এর সবগুলোই আমরা অর্জন করেছি।

এসডিজির যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোই এসব টার্গেট জমা দিয়েছে। এরমধ্যে নতুন করে স্থান পেয়েছ-শান্তি স্থাপন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও স্বাস্থ্য। আর নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য বিমোচন তো আছেই।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এসডিজি-তে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্গেট দিয়েছে। তা হচ্ছে অটিজম। অটিজম নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতেই এ টার্গেট দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক নদ-নদীর পানি বণ্টন ইস্যুর পাশাপাশি সমুদ্রের ব্যবহারের প্রসঙ্গও এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই