টেকনাফে ১ম দিনে পিএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৬৪৯জন

টেকনাফে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ১১টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পরীক্ষার প্রথম দিনে পিএসসিতে ৪শ ২২জন এবং ইএসসিতে ২শ ২৭জনসহ মোট ৬৪৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- সারাদেশের ন্যায় ২২ নভেম্বর রবিবার সকাল ১১টা হতে টেকনাফের ১১টি কেন্দ্রে এক যোগে পরীক্ষা শুরু হয়।

হোয়াইক্যং আলি আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, হ্নীলা শাহ মজিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্র, হ্নীলা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, লেংগুরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, সাবরাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, শাহপরীরদ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বড় ডেইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, টেকনাফ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শামলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শুরু হওয়া পিএসসি পরীক্ষায় অংশ-গ্রহণের জন্য পিএসসি হতে ১হাজার ৯শ ৫৫জন ছাত্র ও ২হাজার ৩শ ৯৯জন ছাত্রীসহ মোট ৪হাজার ৩শ ৫৪জন পরীক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত হয়। পরীক্ষার ১ম দিনে প্রাইমারী হতে ১হাজার ৭শ ৭১জন ছাত্র এবং ২হাজার ১শ ৬১ জন ছাত্রী অংশ গ্রহণ করে। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ১শ ৮৪জন ছাত্র এবং ২শ ৩৮জন ছাত্রীসহ মোট ৪শ ২২জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এদিকে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার জন্য ছাত্র ৫শ ৩৫জন এবং ছাত্রী ৭শ ৮৮জনসহ মোট ১হাজার ৩শ ২৩জন পরীক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত হয়। পরীক্ষার প্রথম দিনে ৪শ ৩৯জন ছাত্র ও ৬শ ৫৭জন ছাত্রীসহ মোট ১হাজার ৯৬জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তবে ইবতেদায়ী হতে ৯৬জন ছাত্র ও ১শ ৩১জন ছাত্রীসহ মোট ২শ ২৭জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এদিকে টেকনাফ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ধর পিএসসি ও ইএসসিতে ৬৪৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রথমদিনের পরিক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এবারে টেকনাফ উপজেলায় মোট ১১টি কেন্দ্রে ১১ জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ১১ জন কেন্দ্র সচিব, ১১ জন হল সুপার, ১১ জন সহকারী হল সুপার, ২১৬ জন ইনভিজিলেটর নিয়োগ ইতিমধ্যেই চুড়ান্ত করা হয়েছে। মোট ১৭৩টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৬৭৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। তম্মধ্যে ১৪৮টি স্কুলের (কেজি ও সরকারী-বেসরকারী স্কুলসহ) ১ হাজার ৯৫৫ জন বালক, ২ হাজার ৩৯৯ জন বালিকা, মোট ৪ হাজার ৩৫৪ জন। এতে মুসলিম ৪ হাজার ২৫৬ জন, হিন্দু ৪৪ জন, বৌদ্ধ ৫৪ জন, খ্রিস্টান নেই। তাছাড়া ৬ জন প্রতিবন্ধী পরিক্ষার্থী রয়েছে।

স্কুলে ছেলের চেয়ে ৪৪৪ জন মেয়ে পরিক্ষার্থী বেশী। স্কুলের মধ্যে রয়েছে ৩৪টি সরকারী, ২৫টি নতুন জাতীয়করণ, ২২টি কেজি, ১৬টি ব্র্যাক, ৩৬টি আনন্দ, ৫টি নন রেজিঃ, ১০টি এনজিও (আরশেদ) স্কুল। অন্যদিকে ২৫টি মাদ্রাসার ৫৩৫ জন বালক এবং ৭৮৮ জন বালিকা মোট ১ হাজার ৩২৩ জন। মাদ্রাসা সমুহে ছেলের চেয়ে ২৫৩ জন মেয়ে পরিক্ষার্থী বেশী।

পরীক্ষার্থীদের মধ্যে (স্কুল ও মাদ্রাসা) ২ হাজার ৪৯০ জন ছাত্র এবং ৩ হাজার ১৮৭ জন ছাত্রী। এবারে মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বালকের চেয়ে ৬৯৭ জন বালিকা বেশি। গত বছরের চেয়ে এবছর অংশগ্রহনকারী শিক্ষা প্রতিষ্টান ও পরিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। টেকনাফ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর উক্ত তথ্য নিশ্চিত করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই