টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তানের

প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে পরাজিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ম্যাচেও পরাস্ত। এবার টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা হেরেছে ১৬ রানে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।

শনিবার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৪ রানেই আউট হয়ে যান শারজিল খান। তবে অন্য ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং স্বাগতিকদের বিপদে পড়তে দেয়নি।

দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজমের (১৯) সঙ্গে খালিদ লতিফের ৫৪ রানের জুটি পাকিস্তান দলে শুধু স্বস্তি ফিরিয়েই আনেনি, ভিত গড়ে দিয়েছে বড় সংগ্রহেরও। ৩৬ বলে ৪০ রান করে লতিফ রানআউটের শিকার হওয়ার পর দলকে এগিয়ে নিয়েছেন শোয়েব মালিক ও সরফরাজ আহমেদ। চতুর্থ উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়েছেন দুজনে।

মালিক ২৮ বলে ৩৭ রান করে কিয়েরন পোলার্ডের হাতে ধরা পড়লেও সরফরাজকে ফেরাতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। তাঁর ৩২ বলে অপরাজিত ৪৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংসটা সাজানো ছিল পাঁচটি চারে। পাকিস্তানকে চার উইকেটে ১৬০ রানের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে সরফরাজের অবদানই সবচেয়ে বেশি।

জবাবে মাত্র ১৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে দিকভ্রান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের পথ থেকে ছিটকে গেছে শুরুতেই। ১০ ওভার শেষে চার উইকেটে ৪৫ রানে পরিণত হয়ে অসহায় আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছে তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা থেমে গেছে ১৪৪ রানে। শেষ দিকে সুনীল নারাইন (১৭ বলে ৩০) ঝড় তুললেও ক্যারিবীয়দের হার ঠেকাতে পারেননি।

আগের ম্যাচে মাত্র ১৪ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের মূল ‘হন্তারক’ ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য একটির বেশি উইকেট পাননি এই বাঁহাতি স্পিনার। ১৩ রানে তিন উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার বাঁহাতি পেসার সোহেল তানভীর। তরুণ পেসার হাসান আলীর শিকারও তিন উইকেট। যদিও চার ওভার বল করে তাঁর খরচ ৪৯ রান।

আগামী মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি হবে আবুধাবিতে। এর পর তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টেস্ট খেলবে দুদল।



মন্তব্য চালু নেই