টিভি খুললেই হয় খুন, নয় ধর্ষণ

চারদিকে আজ শুধুই দুঃসংবাদ। আর এ থেকে মুক্তি পেতে এবং হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই, এমনই মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘টিভি খুললেই আমরা কোনো না কোনো দুঃসংবাদের খবর পাই। হয় কাউকে খুন করা হয়েছে, না হয় কেউ ধর্ষিত হয়েছে অথবা কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেছে।’

‘এই দুঃসংবাদ থেকে মুক্তি পেতে এবং অন্যায়-অনাচার, জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই’, বলেন নজরুল।

এ সময় তিনি বিএনপির নেতাদের শুধু গ্রেপ্তার না করে সব অপরাধের তদন্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ হলেও দেশে সেই গণতন্ত্র আজ অনুপস্থিত। এ ছাড়া দেশে আইনের শাসন নেই। নেই সভা-সমাবেশ করা ও কথা বলার অধিকার। অনির্বাচিত সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে, আর বিএনপির নির্বাচিত মেয়ররা আজ কারাগারে। দেশে আজ কী গণতন্ত্র?’

তিনি বলেন, ‘আজকে ব্যাংক ও শেয়ারমার্কেট লুট হয়ে গেছে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত লুট হয়ে গেল অথচ কেউ এটার দায়িত্ব নিচ্ছে না। এসব প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করার দায়িত্ব যাদের ছিল, তাদেরকে এই লুটপাটের দায়িত্ব নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা কিছু কিছু মানুষ লুট করে নিয়ে যাবেন, কারো কারো অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেনের ব্যাপার থাকবে, অথচ এসবের কোনো তদন্ত হবে না, এটি হতে পারে না।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘সব অপরাধের তদন্ত করতে হবে। বিএনপির কারো বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ না থাকলেও গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়ে তারপরে বিচার করা হয়। আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ডকুমেন্টেড হয়ে আছে তাদের কিছু করা হবে না। এভাবে দেশ চলতে পারে না।’

নেতাকর্মীদের অভয় দিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে পরীক্ষিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের সামনে আছেন। তার নেতৃত্বে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আগামি দিনে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। আর এর মধ্য দিয়ে দেশ থেকে অনাচার, খুন-খারাবি ও দুর্নীতি দূর করতে হবে।’

স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির হোসেনের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম পটু, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই