টাঙ্গাইলে শাকসবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা
শীতকালীন শাকসবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন টাঙ্গাইলের কৃষকরা। এ বছর টাঙ্গাইলে প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন শাকসবজির চাষ হয়েছে। টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জেলায় ২ লাখ ৫ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদন হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৫৩৬ হেক্টর। গত বছর উৎপাদন হয় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন, লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৮৮৫ হেক্টর। সূত্র জানায়, কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সবধরনের সাহায্য সহযোগিতা করছেন। প্রতিটি উপজেলায় তাদের মাঠ পর্যায়ের অফিসার আছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকরা কাজ করেছে। আর এতে তারা লাভবান হচ্ছেন।
টাঙ্গাইল শহরের এনায়েতপুর ও কাগমারা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক ও বিভিন্ন পেশার লোকজন শীতকালীন শাকসবজি চাষ করছেন। নিজ জমি ছাড়াও বর্গা নিয়েও অনেকেই শীতকালীন শাকসবজি চাষ করেছেন। অনেকেই বাড়ির আশপাশে পতিত জমিতেও চাষ করেছেন শাকসবজি। এনায়েতপুরের সবজিচাষী ওমেদ আলী বলেন, আমি অন্যের জমিতে শীতকালীন শাকসবজি চাষ করেছি। আমি প্রতি বছরই শীতকালীন শাকসবজি চাষ করছি। এ বছর ২ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। লাভ হয় ৩৫ হাজার টাকা। আমি মূলা, ফুলকপি, পাতাকপি, টমেটো, মরিচ, শালগম ও বেগুন চাষ করে থাকি। আমি টাঙ্গাইল ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছি। এতে আমি পর্যাপ্ত পরিমাণে লাভবান হয়েছি। আমার সংসার খরচও এর উপর নির্ভর করে। আমি ১০ থেকে ১২ বছর ধরে এ কাজ করছি। এনায়েতপুরের চাষী বিভাষ চৌহান বলেন, আমি এবার ১৪ শতাংশ জমিতে শীতকালীন শাকসবজি চাষ করেছি। এতে আমার ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করছি ১৫ হাজার টাকা লাভ হবে।
কাগমারার চাষী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা। শীতকালীন শাকসবজি লাভবান হওয়ায় অবসর সময়ে চাষ করছি। আমার ৬ আনা খরচ হলে লাভ হয় ১০ আনা। আমি বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করি।
মন্তব্য চালু নেই