টাকার জন্য স্ত্রীর সহযোগীতায় দিনের পর দিন ধর্ষণ !

ভারতের গ্রেটার নয়ডা সংলগ্ন একটি গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাস করত দশম শ্রেণির ছাত্রীটি। ছাত্রী তাদের গ্রামের এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। বিয়ে বাড়িতে আনন্দ করার খেসারত যে তাকে গত আট মাস ধরে এভাবে দিতে হবে তা সে স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। ওই বিয়ের অনুষ্ঠানেই সোনু নামে এক যুবক এসেছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীনই ঐ মেয়ের একটি ভিডিও রেকর্ড করে সোনু। এরপর সোনু তার ভাগ্নে প্রদীপ, লোকেন্দ্র নামে আরেক এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী মিলে ভিডিও নিয়ে অশ্লীল এমএমএস তৈরি করে। সেই এমএমএস দেখিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল।

সর্বশেষ ঐ স্কুলছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে মায়ের সামনে না গণধর্ষণ করে গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করে ৩ ধর্ষক। মায়ের কোলে মাথা রেখেই মৃত্যু হয় জীবন্ত দগ্ধ মেয়েটির। আর গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড অভিযুক্তদেরই একজনের স্ত্রী।

শনিবারের এই ঘটনায় এক নারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, তার মেয়েকে ব্ল্যাকমেল করে সোনু, প্রদীপ ও লোকেন্দ্র গত কয়েক মাস ধরেই গণধর্ষণ করেছে। লোকেন্দ্রর স্ত্রী অর্চনা মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেল করে তিনজনকে গণধর্ষণে মদত দিত। এদিনের খুনের ঘটনার পনেরো দিন আগেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তিনজন।

গত সপ্তাহে লোকেন্দ্রর স্ত্রী ছাত্রীটিকে জানায়, নগদ ১০ হাজার টাকা দিলে তারা তাকে রেহাই দেবে। বাড়ি থেকে কোনও ক্রমে টাকা জোগাড় করে লোকেন্দ্রর স্ত্রীকে দেয় মেয়েটি। তিন দিন আগে ফের ৫ হাজার টাকা দাবি করে অর্চনা। ভয় দেখায়, এই টাকা না দিলে সে আবার তাকে লোকেন্দ্রর সঙ্গে সহবাস করতে বাধ্য করবে।

তীব্র শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার বাবা-মাকে গোটা বিষয়টি জানায় ছাত্রীটি। এরপরই ছাত্রীর বাবা অভিযুক্ত ৪ জনের সঙ্গে কথা বলেন। চারজনেই তাঁকে হুমকি দেয়, টাকা না দিলে এমএমএস ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রাণে মারারও হুমকি দেয় তারা।

শনিবার সকালে তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। একাই ছিল মেয়েটি। সেই সুযোগেই তিনজনে বাড়িতে ঢোকে। দশম শ্রেণির ছাত্রীটিকে গণধর্ষণ করে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রবল চিত্‍কারে ছাত্রীর মা বাড়িতে এসে দেখে মেয়ের শরীরের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছে। প্রতিবেশীদের সাহায্যে সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হতে থাকায় সেখান থেকে তাকে দিল্লির হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় মেয়েটির।



মন্তব্য চালু নেই