টাকার জন্য দেবরের পাশবিক নির্যাতনের শিকার ভাবি

ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ানে ব্যাংকের হাট পোলগরা এলাকায় টাকার জন্য দেবরের পাশবিক নির্যাতনের শিকার ভাবি বানু বেগম (৫০)। বর্তমানে রানু বেগম ভোলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দেবর নুরনবী ও তার বাতিজার মিলে এমন পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটায়। এব্যাপারে ভোলা সদর থানায় নুরনবী ও তার ভাতীজাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শুক্রবার ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় সাংবাদিকদের পাশবিক নির্যাতনের শিকারের বর্ণনা দিতে গিয়ে বানু বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পরে স্থানীয় রতন আমার সম্পত্তি ও টাকা পয়সাঁ দেখে ৫ বছর আগে আমাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে রতন আমার কাছ থেকে টাকা নিতো। নিয়ে তার প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের দিয়ে দিত।

এ দেখে আমার দেবর নুরনবী আমাকে ও আমার স্বামী রতনকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ৪ লক্ষ টাকা নেয়। সম্প্রতি নুরনবী আমাকে নগদ ২ লক্ষ টাকা ও আমার সম্পত্তী তার নামে লেখে দেয়ার জন্য বলে। কিন্তু এতে আমি রাজি না হওয়াতে বৃহস্পতিবার নুরনবী তার ভাতিজাদের নিয়ে আমার বাড়ীতে এসে আমার উপর নির্যাতন চালায়। এসময় তারা আমার গোপন অঙ্গে লাটি দিয়ে আঘাত করে থেতলে দেয়। শুধু তাই নয় আমি অজ্ঞান হয়ে পরলে তারা তাদের বাড়ীতে নিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নির্যাতন চালায়।

এসময় আমার স্বামী রতন আমাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে তারা তাকেও মারধর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসলে আমার বোনের মেয়ে রাবেয়া আমাকে উদ্ধার করে অসুস্থ অবস্থায় আমাকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে হাসপাতালে পাঠানের সময় বিকালে নুরনবী নেতৃত্বে তার ভাতীজা আলী, আলমগীর, জাকির, আল-আমিন, ভাতিজী লাইজু, ফাতেমা ও আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী কহিনুর ও আমার উপর হামলা চালায়। তারা তিন ধাপে আমাকে নির্যাতন করে বলে তিনি জানান। এদিকে রাতেই খবর পেয়ে বানু বেগমের তিন মেয়ে ঢাকা থেকে ভোলা চলে আসে তার মাকে দেখতে।

বানু বেগমে ছোট মেয়ে ইয়াছমিন বলেন, যারা আমার মায়ের উপরে এমন অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে আমারা তাদের কঠিন বিচার চাই। যাতে নারীর উপরে এমন কোন ঘটনা আর কেউ যেন এমন ঘটনা না ঘটাতে পারে।

এ ব্যাপারে নুরনবীর সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাতে ভোলা সদর থানায় নুরনবী ও তার ভাতীজাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।



মন্তব্য চালু নেই