টঙ্গীবাড়ীতে স্কুলছাত্রী টুম্পা রানী নিখোঁজ : দুই আসামিকে ২ দিনের রিমান্ডে

নাসরিন আক্তার, মুন্সীগঞ্জ থেকে : জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজের ৭দিন পরও খোঁজ মেলেনি স্কুল ছাত্রী টুম্পা রাণী ঘোষের (১৪)। এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানায় টুম্পার বাবা সামু ঘোষ বাদী হয়ে গত শনিবার ৩ জনকে আসামি করে টঙ্গীবাড়ী থানায় আপহরণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ এ পর্যন্ত ২জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করছে। গ্রেফতারকৃত আসামি সোহেল মৃধা ও সোনাবানু বেগম (৪২)-কে ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। পুলিশ ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করলে মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ আমালী আদালত ৪-এর বিচারক হায়দার আলী রিমান্ড শুনানী শেষে তাদের ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টঙ্গীবাড়ী থানা এসআই শাখাওয়াত জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেল মৃধা ও সোনাবানুকে বুধবার বিকালে দুইদিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। টুম্পা আবদুল্লাহপুর বাজারের চায়ের দোকানদার সামু ঘোষের মেয়ে ও আব্দুল্লাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, টুম্পার সাথে বাড়ির পাশের এনজিও সি-দ্বীপ আব্দুল্লাপুর শাখার সাবেক কর্মচারী মাসুদ রানা(২৬) এর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিগত প্রায় ১ বছর আগে মাসুদ আব্দুল্লাপুর শাখা থেকে বদলি হয়ে গাজীপুর চলে যায়। তবে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় টুম্পা মাসুদের সাথে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে স্থানীয় লম্পট সোহেল মৃধা (৪৬) ও বাজার পাহারাদার স্বপন (৩৮) তাদের আটক করে সি-দ্বীপ ওই শাখার বাবুর্চি সোনাবানু বেগম (৪২) এর সহযোগিতায় এক বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। পরে মাসুদের কাছে থাকা ১৫হাজার টাকা, ২ভরী স্বর্ণঅলংকার ও ২টি মুঠো ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করে পাঠিয়ে দেয় এবং টুম্পাকে একা অন্য এক স্থানে নিয়ে যায়। এরপর থেকে টুম্পার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। অপহরনকারী সোহেল মৃধার নামে এলাকায় মাদক ব্যাবসা, চাদাঁবাজীসহ অন্যান্য অনেক অপরাধে সাথে সংযুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।



মন্তব্য চালু নেই