ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা পারাপার, ফুটওভার ব্রীজে অনীহা!

প্রতিদিনের মতই মগবাজারের একটি স্কুল থেকে সন্তানকে নিয়ে কাঁঠাল বাগানের নিজ বাসায় ফিরছিলেন মিসেস আহমেদ। বাংলামটর মোড়ে এসেই বিপত্তির শিকার তিনি, একটুর জন্যে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান। রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রাইভেট কারের কড়া ব্রেকেই এই যাত্রায় রক্ষা হয়। বিশাল ফুটওভার ব্রীজ থাকলেও এটি ব্যবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেন রাস্তা পার হচ্ছিলেন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মগবাজার থেকে রিক্সায় আসলাম এখান পর্যন্ত, কিন্তু রিক্সা ওপারে যেতে দেওয়া হয় না। আর ছেলেকে নিয়ে ব্রীজের উপরে উঠতে অনেক কষ্ট হয়।’

মিসেস আহমেদের মত এমন অনেকেই আছেন প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করেও অনেককে রাস্তা পার হতে দেখা যায়। যদিও বয়স্ক জনিত ও বিভিন্ন কারনে অনেকেই উঁচু ব্রীজের সিঁড়ি বেয়ে রাস্তা পার হতে পারেন না, এক প্রকার বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নেন তারা।

এদিকে সোমবার সারেজমিন ঘুরে দেখা যায়, খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যারা রাস্তাপারাপারে ফুট ওভার ব্রীজ ব্যবহার করেন। অধিকাংশই ব্রীজের নিচের রাস্তা ধরে পারাপার হন, কেউ ট্রাফিক সিগন্যাল পড়লে, কেউবা আবার সিগন্যালের তোয়াক্কা না করেই নিজে হাত দিয়ে গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হন!

এই যখন চিত্র তখন সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এক কথায় উত্তর দেন, ‘সাধারণ মানুষ নিয়মের ধার ধারে না, কয় জনকে বাধা দেওয়া যায় বলেন? নিজের জীবনের চিন্তা নিজে না করলে এরেকজন কি করবে।’ এর সমাধান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবাইকেই সচেতন হতে হবে’।

খোজ নিয়ে জানা যায়, ‘ অনবরত চতুর্মুখী যানচলাচলে ব্যস্ত রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক পয়েন্টটিতে কয়েকদিন পর পরই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। যারা ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করেন না, তাদের জরিমানা করা হয়। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলেই, যেই-সেই আগের অবস্থা!

উল্লেখ, ঢাকার ফুটওভার ব্রীজ এর একটি পরিসংখানে দেখা যায়, রাজধানীতে বর্তমানে ৬৮ টি ফুটওভার ব্রীজ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর আওতায় ৩৪ টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর আওতায় ৩১ টি ফুটওভার ব্রীজ রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই