ঝিনাইদহে চিত্রা নদীতে আড়াআড়ি বাঁধদিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

ঝিনাইদহ সদর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত চিত্রা নদীতে আড়াআড়ি বাঁধদিয়ে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ চিত্রা নদীতে আড়াআড়ি বাঁধদিয়ে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহিত হতে না পেরে এলাকার হাজার হাজার একর জমির আবাদ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছের কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের সুতি গ্রামের খন্দকার পাড়া এবং কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের তালসার গ্রামের পূর্বপাড়া মাঝদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে চিত্রা নদী। নদীতে বর্তমানে শুকনো মৌসুমে পানি কমে যাওয়াই দুই গ্রামের বাসিন্দারা বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে এই চিত্রা নদীর এই স্থানে কোন প্রকার নিয়ম কানুন ছাড়াই আড়াআড়ি রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। নদীর দুই পাশ দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে মাঝ পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে রাস্থা। দুই রাস্তার সংযোগে দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাকো। আর এই বাঁশের সাকো দিয়েই চলাচল করে সুবিধাভোগিরা। বর্তমানে নদী পানি কম থাকলেও বর্ষা মৌসুমে নদীর উন্মক্ত পানি প্রবাহ দারুনভাবে বাঁধাগ্রস্থ হবে। এতে ফলে বর্ষা মৌসুমে হাজার হাজার একর জমির আবাদ পানি তলিয়ে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুতি গ্রামের খন্দকার পাড়া এবং তালসার গ্রামের পূর্বপাড়া মাঝদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে চিত্রা নদী। ভরা বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি থাকার কারনে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যোগাযোগ করতে হয়। আর শুকনা মৌসুমে পানি কমে যাওয়াই দুই গ্রামের বাসিন্দারা বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার করেন। কিন্তু বর্তমানে সহজভাবে যোগাযোগ করার জন্য চিত্রানদীর মাঝদিয়ে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে। কর্মরত শ্রমিকরা জানান, তারা নিজেরা এখন কাজ করছেন, কাজ শেষ হলে চেয়ারম্যান সাহেব তাদের মজুরি বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিবেন বলে জানান।

এবিষয়ে মধুহাটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান তহুরুল ইসলাম জানান, এটা জনসেবামূলক কাজ। গ্রামবাসীরা উপকৃত হবেন। তাই নিজেই রাস্তাটি করে দিলাম। এবিষয়ে কুশনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব বলেন, রাস্তাটি ওই এলাকার মেম্বর আতিয়ার রহমান করছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সেখানে রাস্তা নির্মাণের কোন অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। তবে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে পারবেন, এটা কোন সমস্যা না। এবিষয়ে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা খোঁজখবর নিযে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি আশ্বস্থ করেন।



মন্তব্য চালু নেই