গণগ্রেফতার ১৩ দিনে গ্রেফতার ১৮০
ঝিনাইদহে অবরোধ সমর্থনে বিএনপির মিছিল
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ১২তম দিনে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রোববার ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল শেষে পুরাতন হাট খোলায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পৌর বিএনপির সভাপতি জাহিদুজ্জামান মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান।
অন্যন্যোদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক, এড মুন্সি কামাল আজাদ পান্না, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আক্তারুজ্জামান, শাহজাহান আলী, সাজিদুর রহমান পপপু, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, জিয়াউল ইসলাম ফিরোজ, মীর ফজলে এলাহী শিমুল, আরিফুল ইসলাম আনন, মুস্তাক, সোহাগ, আবু বক্কর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। নেতৃবৃন্দ বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত ৭ দফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার আহ্বান জানান।
এদিকে ঝিনাইদহ জেলায় আন্দোলন ও নাশকতা দমনে পুলিশ গনগ্রেফতার শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের ১৮০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের ডিএসবি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে গত ৫ জানুয়ারী থেকে রোববার পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলায় জামায়াত বিএনপির কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাসহ ১৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের নেতা আব্দুল আলীম, ঝিনাইদহ জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আবু বক্কার রয়েছেন।
এ ছাড়া যুবদল, ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা রয়েছেন। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ও গ্রাম পর্যায়ে সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ এমন নেতা কর্মীদের তালিকা এখন পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। ডিবি পুলিশ প্রতি রাতে এ সব নেতা কর্মীদের বাড়িতে কোন রকমের গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই হাজির হচ্ছে এবং গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমান এক বিবৃতিতে জানান, গত রাতে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নেতা ও আদর্শপাড়ার একটি মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব আল মাহদী লিপিয়ারের বাসায় অভিযান চালায়। আদালতের পরোয়ানা ছাড়াই ২০ দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নিছক হয়রানীর জন্য পুলিশ ও ডিবি তাদের গ্রেফতার করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি পুলিশের প্রতি নিরপেক্ষ আচরণ প্রত্যাশা করে বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার থেকে বিরত রাখা বেইআনী। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কাউকেই বেআইনী ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে না।
মন্তব্য চালু নেই