ঝিনাইদহের নিঁখোজ থাকা ১২ অভিবাসিকে মিয়ানমার থেকে উদ্ধার

মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা ১৫০ জন বাংলাদেশির মধ্যে ঝিনাইদহের ১২ জন রয়েছে। এরা হলেন, ইসমাইল হোসেনের ছেলে মফিউর রহমান, মো. নিজামের ছেলে হারুন উর রশিদ, ওয়াসেল বিশ্বাসের ছেলে মহসিন বিশ্বাস, ইসমত আলীর ছেলে মো. সোবহান, মকবুল মুল¬ার ছেলে পলাশ, মোতালেব মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম, রাহাজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আবুল কালাম, রজব আলীর ছেলে আব্দরু রাজ্জাক, শরীফ বিশ্বাসের ছেলে দুলাল, ইসমাইল সরদারের ছেলে আব্দুল মালেক ও রাসেদ মন্ডলের ছেলে ছব্বির হোসেন।

এদের কারো কারো বাড়ি শৈলকুপার হাটফাজিলপুর ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুর এলঅকায় বলে জানা গেছে। বর্তমান তারা কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ডরমেটরিতে তাদেরকে রাখা হয়েছে। সোমবার রাতে ঝিনাইদহের ১২ জনকে উদ্ধারের খবর পৌছলে তাদের স্বজনরা মঙ্গলবার কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ঝিনাইদহের সাংবাদিকদের কাছে এ সব পরিচয় নিশ্চত করেন।

তিনি বলেন, এদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হচ্ছে। ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের বিষয়ে আরও যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। কিভাবে তারা মানবপাচারের শিকার হয়েছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যেকের জবানবন্দি ফাইল করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের কেউ কোন অপরাধে জড়িত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যেকের নিজ নিজ জেলায় তদারকি চলছে। ১৫০ জনের মধ্যে কেউ অপরাধী থাকলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি জানান। সোমবার রাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢেকিবনিয়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের সাথে এক পতাকা বৈঠকের পর মিয়ানমারে উদ্ধার করা ১৫০ বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফেরত দেওয়া হয় বলে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল খালেকুজ্জামান পিএসসি জানান।

ফিরে আসা ১৫০ জন অভিবাসীদের মধ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার ২৯, নরসিংদীর ৫৬, চট্টগ্রাম ৮, বান্দরবান ৯, ঝিনাইদাহ ১২, পাবনা ৫, চোয়াডাঙ্গা ৪, বাগেরহাট ৪, বিবাড়িয়ার ৬, সুনামগঞ্জ ৪, নারায়নগঞ্জ ২, টাইঙ্গাইল ৩, যশোর ২, হবিগঞ্জে ১, কুমিল¬া ১ ও নাটোরের ১ জন অভিবাসী রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই