ঝালকাঠির মেয়র সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও আদায়ের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
ঝালকাঠি পৌরমেয়র আফজাল হোসেন সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী, আদায়, মারধর, হুমকি দেয়ার ঘটনায় সত্যতা পাওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার এসআই মোঃ আবুল বাসার খান এ প্রতিবেদন দাখিল করলে অফিসার ইনচার্জ শিলমনি চাকমা তা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অগ্রগামী করেন। স্থানীয় কবির আহম্মেদ বাদী হয়ে দ:বি: ১৪৮/৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় এমপি (নং ২৪৬/২০১৪ (ঝাল) মামলা করলে আদালতের নির্দেশে রবিবার থানা পুলিশ উক্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার বিবরনে উল্লেখ করা হয়েছে, কবির আহম্মেদ পশ্চিম চাঁদকাঠি খাদ্য গোডাউন এলাকায় ৪শতাংশ জমি ক্রয় করে সরকারি বিধি অনুযায়ী হোল্ডিং-প্লান অনুমোদন করিয়ে নতুন ভবন নির্মানের জন্য বালু ভরাট শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ করে মেয়রের মামতো ভাই সলেমান ও ভাইয়ের ছেলে মুন্না সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় ও মেয়রের সাথে দেখা করতে বলে।
সে অনুযায়ী পৌরসভায় মেয়র আফজাল হোসেনের সাথে দেখা করলে তিনি হুমকি-ধুমকির এক পর্যায়ে ৫লাখ টাকা চাদা দাবী করে। এ অবস্থায় কাজ করানোর সার্থে সে নগদ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করে বাকি টাকা কয়েকদিন পরে দেয়া কথা বলে দ্রুতো কাজ করাতে থাকেন। ২৪ নভেম্বর ২০১৪ইং তারিখ বিকাল ৫টায় আসামীরা তার পালবাড়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ব্যবসায়ী কবির কে মেয়রের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সে যেতে না চাওয়ায় জোরপূর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা ও মারধর করে।
এসময় তার ডাকচিৎকারে সাক্ষিরা সহ উপস্থিত লোকজন এগিয়ে আসলে বাকি টাকা দিয়ে আসার হুমকি দিয়ে আসামীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গত ২৬ নভেম্বর উল্লেখিত অভিযোগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক মো. আরিফুজ্জামান বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বাসার তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আদালতের নির্দেশে অফিসার ইনচার্জ তাকে তদন্তকারী নিয়োগ করলে সরেজমিন ঘটনাস্থল, মামলার সাক্ষী ও আশেপাশের নিরপেক্ষ লোকজনের কাছে পৃথক ভাবে প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্ত করে দঃ বিঃ ১৪৮/৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায় বলে প্রতিবেদন প্রদান করেন।#
মন্তব্য চালু নেই