ঝালকাঠির বিদ্যালয়টি ধ্বসে পরার উপক্রম মৃত্যু ঝুঁকিতে ছাত্র-ছাত্রীরা !

বিদ্যালয় নির্মানে অবকাঠামোগত দুর্নিতীর কারনে মৃত্যু ঝুকি এড়াতে ঝালকাঠিতে খোলা আকাশের নীচে শিশুদের পাঠদান চলছে। এমন নাজুক প্রকল্পে মৃত্যু ঝুকিতে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা। ঝালকাঠি সদর উপজেলার জগদীশপুর সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা বিদ্যালয় ভবনটি নির্মান কালে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তারা অর্থ লুটপাট করে নাজুক ভবন নির্মান করে।

এই বিদ্যালয় ভবন নির্মানের ২০ বছরের মধ্যেই ভবনটি ধ্বসে পরার উপক্রম হয়েছে এবং শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও নিজেদের ঝুকি এড়াতে বিদ্যালয়ের বারান্দায় সংকীর্ণ পরিসরে পাঠদান করতে বাধ্য হচ্ছে। বৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ের ছুটি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বাড়ী পাঠিয়ে দিতে হচ্ছে । এই ২০ বছরের মধ্যে কয়েবার লক্ষাধিক টাকা ব্যায় করে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ করা হয়েছে।তবুও ভবন ভঙ্গনের কারনে ঝুকি হ্রাস হয়-নি। বিদ্যালয়টি নুতন করে নির্মান না করা হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে।

সম্প্রতি ১ সপ্তাহের মধ্যে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট এই বিদ্যালয় ভবনটির অফিস কক্ষ ও শ্রেনি কক্ষের ছাদের ভীমের চারিপাশে প্ল¬াস্টার খষে দানবের মত রড বেরিয়ে এসেছে। দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুয়ে পানি পরে।

১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত জগদীশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবন পরিত্যক্ত হওয়ার পর ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার আমলে এলজিইডি বিভাগরে মাধ্যমে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট বর্তমান এই ভবনটি নির্মান করা হয়। ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যায়ে ভবনটি নির্মানের পরে ২০১০ সালে ৭০ হাজার টাকা এবং তার পূর্বেও ক্ষুদ্র মেরামত করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থার কথা জানিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিকবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছে। সরেজমিনে গেলে বিদ্যালয়ের বারান্দায় পাঠদানকারী শিক্ষিকা মনিকা হালদার ঝুকিপূর্ন এই বিদ্যালয়টির বর্তমান অবস্থার কথা জানান এবং দাবি করেন বিদ্যালয়ের নূতন ভবন নির্মান না করা হলে শিশুদের পাঠদানের কোন সুযোগ থাকবে না।



মন্তব্য চালু নেই