ঝালকাঠিতে ফিকি হয়ে গেছে অটো রিক্সা চালকের ঈদের আনন্দ!

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: আর মাত্র পাঁচ দিন পরে মুসলমানদের সর্ব বৃহত্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পবিত্র ঈদুল ফিতার। সকলেই যখন ঈদ উদ্যাপনের জন্য কেনা কাটায় ব্যাস্ত ঠিক সেই মুহুর্তে কেঁদে দু’চোক ভাসাচ্ছেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের পিপলিতা গ্রামের অটোর রিক্সা চালক সাইদুল ইসলাম জোমাদ্দার। ফিকি হয়ে গেছে তার ঈদের আনন্দ।

কারন তার আয়ের এক মাত্র উৎস অটোর রিক্সাটি শত্রুতা করে খালে ফেলে দেয়া হয়েছে। সারতে কমপক্ষে এক লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা কিভাবে জোগার করবে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে কেমন করে ঈদ উদ্যাপন করবে এই ভেবে অঝোড়ে কাঁদছেন তিনি।

সাইদুল ইসলাম জোমাদ্দার অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে পিপলিতা গ্রামের আলআকসা জামে মসজিদের পাশে অটোর রিক্সা চার্জে রেখে বাড়িতে যান তিনি । পরে রাত তিন টার দিকে মসজিদের ইমাম আব্বাস উদ্দিন ওজু করার জন্য খাল পারে গেলে ওই অটো রিক্সাটি পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের বিষয়টি জানায়।

পরে সাইদুল ইসলাম জোমাদ্দার তার একমাত্র উপার্যনের উৎস অটো রিক্সাটি খালে দেখে কান্না ভেঙ্গে পরেন। অথচ ঈদে বাড়তি আয়ের আশায় কয়েক দিন পূর্বে ব্যাটারিসহ প্রায় এক লাখ টাকা খচর করে অটো রিক্সাটি মেরামোত করেছিল।

অটোর রিক্সা চালক সাইদুল ইসলাম জোমাদ্দার অভিযোগ করেছেন, একই এলাকার মিলন জোমাদ্দারের সাথে গত এক বছর ধরে তার জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে গত এক মাস পূর্বে মিলন জোমাদ্দার একই এলাকার ফারুক জোমাদ্দার, বাবুল জোমাদ্দার, শান্ত হাওলাদার ও তোফাজ্জেল হোসেনকে নিয়ে সাইদুল ইসলাম জোমাদ্দারকে দেখে নেয়ার হুমকী দেয়।

এঘটনায় সাইদুল ইসলাম জোমাদ্দার ঝালকাঠি থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। এব্যাপারে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য রাকিব উদ্দিন কেনান বলেন, ‘ঈদের ঠিক পূর্ব মুহুর্তে অটো রিক্সা চালক সাইদুল ইসলাম জোমাদ্দারের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুরন হবার মত নয়।’ ঝালকাঠি থানার ওসি মাহে আলম বলেন, এব্যাপারে আমরা এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই